বরিশাল ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
সরকার বিএনপিকে কঠিন আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এরশাদ তো শুধু স্বৈরাচার সরকার ছিল কিন্তু বর্তমান সরকার স্বৈরাচারকে কাটিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারে রূপান্তরিত হয়েছে।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, যে বাংলাদেশের জন্য নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডাক্তার মিলনসহ অনেকে শহীদ হয়েছেন, যে আশায় স্বৈরাচার পতন হয়েছিল, সেই আশা কী পূরণ হয়েছে? এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বৈরাচারী পথ অবলম্বন করেছে। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে নিজে নিজেই ক্ষমতায় থাকছে।
‘২০১৯ সালে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। সরকার খুব ভালো করেই জানে যে, বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রেখেছে এবং তার প্রাপ্য জামিন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে উচ্চ আদালত তার স্বাস্থ্যের সার্টিফিকেট চেয়েছে। আমি আশা করব, যারা বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন তারা নৈতিক দিক থেকে সঠিক রিপোর্ট পেশ করবেন। যদি না করেন তাহলে ভাবব, দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চিকিৎসার নৈতিকতা ধরে রাখতে পারছে না। মানুষ তাদের আর বিশ্বাস করবে না।
তিনি বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করা আমাদের সাংবিধানিক ও নৈতিক অধিকার। এর আগেও অনেক আন্দোলন করে প্রমাণ করেছি যে, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চাই। সরকার যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে তাহলে সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারের।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, যদি আগামী ৫ তারিখে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হয় তাহলে বোঝা যাবে, আইনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না এবং সরকার আমাদের কঠিন আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তখন আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকবে না।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-আল-রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, মহাসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ।