বরিশাল ১৭ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার।। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে করোনা মোকাবেলায় সামনের সারির সহযোদ্ধা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মরত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভন্ন স্তরের চিকিৎসকবৃন্দ স্ব স্ব অবস্থানে থেকে চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন আন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ।
বুধবার ১৫ এপ্রিল পরিষদের উপদেষ্টা ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ বাকির হোসেন এবং সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালাদার’র যৌথ স্বাক্ষরিত
প্রেসবার্তায় এ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রেসবার্তায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি তত্বাবধায়নে সবার জন্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ ও এই মহামারি মোকাবেলায় সর্বতোভাবে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সবার পাশে থাকার জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও
কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে ।
তারা আরও উল্লেখ করেন, আমরা রোগীদের পাশে আছি সদা সর্বদা। আগামী দিনগুলোতে আপাদের
সেবাদান অব্যাহত থাকবে এই আবেদন রেখে আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।
প্রেসবার্তায় অন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ হাসপাতালের সেবক/সেবিকা (নার্স), ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এর আগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ও ওয়ার্ডের সামনে গোল চিহ্ন এঁকে দেওয়ার পর চিকিৎসাসেবা গ্রহণ শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা রোগীদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেন অন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ। প্রতিদিন ২০ জনকে এই খাদ্য সহায়তা ও বাড়ি ফেরার যাতায়াত বাবদ নগদ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। অন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদের নেতাদের ও সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে জোগাচ্ছে। এর পাশাপশি আন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ ফান্ডে থাকা অর্থও খরচ করা হচ্ছে। যা চলবে করোনাভাইরাসের আপদকালীন পর্যন্ত। চিকিৎসকদের এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
উল্লেখ্য অন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদের পাশাপাশি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। করোনা সংক্রান্ত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রতিদিন পরিচালকের কার্যলয়ে স্বল্পপরিসরের চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে কর্মপরিকল্পনা সভা হচ্ছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য বার্তা ও সচেতনতামূলক বার্তা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা কর্মস্থলে থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি ডিউটি সময়ের বাহিরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রোগীদের সেবা প্রদান করছেন। হাসপাতালের পরিচালক, ২ জন উপ-পরিচালক ও ২ জন সহকারী পরিচালকের সম্বনয় গঠিত প্রশাসনিক টিম ২৪ ঘন্টা সার্বিক পি রস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছেন। ১৫০ শর্য্যার ইউনিট স্থাপনের পাশাপশি গুরুত্বর অসুস্থ্যদের জন্য ২৮ শয্যার ভ্যান্টিলেটার (আইসিইউ) ইউনিট চালু করা হয়েছে। আইসোলিশন ইউনিটে ভর্তিকৃত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯সহ সব ধরনের।
জ্বর, হাচি-কাশির কর্ণার থেকে রোগীরা সর্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছেন এবং হাসপাতালে আগত সকলের প্রবেশের পূর্বে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধৌত করার নিয়ম চালু করা হয়েছে। হাপসাতালের
সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশ গ্রহনে করোনা প্রতিরোধক সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় তাদের প্রতি এই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আন্তবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ।