বরিশাল ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর।। মনির হোসেন বেপারী উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বাজারের হোটেল ব্যাবসায়ী করোনার কারনে তার দোকান বন্ধ স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছেন। একই বাজারের চায়ের দোকানী হাফেজ বেপারী হাটের সরকারী স্টলে খোলা বাজারে চায়ের দোকান দিয়ে আয় রোজগার করে কোন মতে সংসার চালাতো প্রায় ২০ দিন ধরে কোন আয় নাই ঘরে ৯০ বছরের বৃদ্বা মা কয়েকদিন আগে থানার
ওসি চাল ,ডাল সহ খাদ্য সামগ্রী দিয়েছিল বর্তমানে অনাহারে চলছে তার দিন।
শিকারপুর স্কুলের পাশে চায়ের দোকানী লোকমান ও বাজারের ক্ষুদ্র দোকানী বিনোদ কর্মকার করোনার কারনে দোকান পাট বন্ধ করে মানবেতর জীবন যাপন করলেও কোন সরকারী সাহায্য জোটেনি তাদের কপালে। জয়শ্রী গ্রামের রব মৃধা ও আ: রহিম বেপারী , কামাল হোসেন,পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের ফয়জর আলী অটো চালিয়ে সংসার চলতো গত বেশ ক’দিন ধরে বেকার ঘরে কোন খাবার নেই তাদের কাছে লক-ডাউন মনেই জেন অনাহারে দিন কাটানোর প্রহর।চেখের পানি ছেড়ে দিয়ে তারা
বলছেন মেম্বর চেয়ারম্যানরা তাদের কোন সাহায্য সহায়াতা করছে না বাচার কোন পথ নেই ঘরে সন্তানরা অনাহারে কি ভাবে ঘরে থাকবো বলুন?
উজিরপুর উপজেলা সদরের শিকারপুর ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজারো মানুষের পরিবারের এমন করুন চিত্র বিরাজ করছে কয়েকদিন ধরে।গ্রামে গ্রামে মানুষের মধ্যে এখন হাহাকার চিন্তিত মানুষ তাদেও পরিবার নিয়ে। সরকারী সাহায্য যাদের কপালে জুটেছে তারা নাকি রাজ কপাল নিয়ে জন্ম নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন । জনপ্রতিনিধিরা
স্বীকার করেছেন মানুষের হার হিসাবে যা সাহায্য দেয়া হয়েছে তা খুবই নগন্য। ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডেও শতশত দিনমজুররা এখন অনাহারে সুসান্ত শীল নামক এক এক যুবক বলেছেন দোকান বন্ধ প্রায় ১ মাস ধরে ঘরে কোন খাবার নেই। মেম্বর
বা চেয়ারম্যান কোন খোজ খবর নেয়নি। সরকারী কোন সাহায্যও পায়নি তার পরিবার। সে এখন চিন্তিত আগামী দিনগুলো কি ভাবে কাটাবেন।
শিকারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সরোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার
মানুষের বসবাস হলেও তিনি সরকারী ভাবে মাত্র ২শ জনের ত্রান পেয়েছেন তা বিতারন করা হয়েছে।তবে আগামীতে পরিমান বৃদ্বি করা হবে।