বরিশাল ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
এবার থেকে নতুন নিয়মে হবে প্রায় পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন। জানা গেছে, এসব শিক্ষকের বেতন দেয়া হবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বেতন পাওয়ার বিষয়টি সার্বিকভাবে দ্রুত, সহজ ও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ঝামেলা এড়াতেই এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
এতে সরকারের ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা। আর সুবিধাটি পেতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্টের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সরাসরি ওই মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে অর্থ মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বেতন প্রেরণের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। এটি ।নিরাপদ এবং বিপুল অর্থ ব্যায় হবে বলে তারা মনে করছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনের টাকা পাওয়ার বিষয়টি আরো দ্রুত ও সহজ করার পরিকল্পনা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে বেতন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।
সূত্র মতে, গত অক্টোবরে নতুন করে দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৯৬ হাজার। তারা সরকার থেকে মূল বেতনের সঙ্গে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয় মিলিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা পান।
তবে মোবাইল ব্যাংকিং এ দীর্ঘসুত্রিতার সাথে অনিরাপদ মনে করছেন শিক্ষকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ঝড় উঠেছে। শিক্ষাথীদের উপবৃত্তির অর্থ প্রেরণ হয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। প্রতিবার একাধিক শিক্ষাথী অভিযোগ করেন তাদের টাকা একাউন্টে জমা হয়নি। আবার প্রতারকদের ক্ষপ্পরে পড়ে মোবাইল ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। যা ব্যাংক থেকে সম্ভব নয়।
একারণে শিক্ষকরা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন দাবি করছেন।
সূত্র মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রশিক্ষণ, অন খরচসহ এমপিওভুক্ত খাতে বরাদ্দ আছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। শুধু এমপিওভুক্তিতে বরাদ্দ প্রায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই পাঠানো হবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এ জন্য ১০০ টাকা পাঠাতে সরকারের খরচ হবে ৭০-৮০ পয়সা। সে হিসাবে সব মিলিয়ে সরকারের খরচ পড়বে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সংগতি আনতেই এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।