বরিশাল ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ওল্ড ট্রাফোর্ডের ইতিহাসই বলে দিচ্ছিলো, এই মাঠে ২৯৪ রান টপকে জেতা প্রায় অসম্ভব। কেননা ম্যানচেস্টারের এই মাঠে এর আগে এত রান করে হারেনি কোনো দল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সর্বোচ্চ ২৮৫ রানের টার্গেট অতিক্রম করেছিল ইংল্যান্ড। তাও আবার ১৯৮৬ সালে।
২৯৪ রানের পুঁজি নিয়েই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ১৯ রানের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে অতিথিরা। শুরুতে খেই হারালেও মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ২৯৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া।জবাবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি ইংলিশ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান স্যাম বিলিংস। সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোও। তবু শেষপর্যন্ত জয় পায়নি তারা।
স্কোরবোর্ডে ১২৩ রান তুলতেই ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে অজিরা। মনে হচ্ছিল ২০০’র গণ্ডিও পেরোতে পারবে না অতিথিরা। এরপরই শুরু মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য। দুজনে মিলে গড়েন ১২৬ রানের জুটি।
এতেই ভালো পুঁজির দিকে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ২৪৯ রানে আর্চারের শিকার হয়ে ম্যাক্সওয়েল সাজঘরে ফিরলে রানের গতি কিছুটা মন্থর হয়। ৪টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ম্যাক্সওয়েল ৫৯ বলে করেন ৭৭ রান।
মিচেল মার্শ খেলেন ১০০ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। শেষ দিকে মিচেল স্টার্কের ১২ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৯৪।
জবাবে স্বাগতিকদের টপ অর্ডারও যেন অনুসরণ করে ওয়ার্নার-ফিঞ্চদের। মাত্র ৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জেসন রয়। ফিরতে সময় নেননি অভিজ্ঞ জো রুটও। দলীয় ১৩ রানে ফেরেন তিনি। ইংল্যান্ড শিবিরে শুরুর দুই আঘাতই হানেন অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড।
তবে থ্রি লায়ন্সদের টপ অর্ডারে ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার জনি বেয়ারস্ট্রো, খেলেন ১০৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান স্যাম বিলিংসের সঙ্গে গড়েন ১১৩ রানের জুটি।
বেয়ারস্ট্রো ৮৪ রানে ফিরলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন বিলিংস। ১১০ বলে খেলেন ১১৮ রানের ইনিংস। এর মধ্যে রয়েছে ১৪টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি।
তবে সতীর্থদের ব্যর্থতায় বিফলেই যায় তার অভিষেক সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭৫ রান। ফলে নিজেদের ঘরে ১৯ রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মরগ্যান বাহিনীকে।