বরিশাল ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রইসুল আলম রিপন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বরগুনায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী হয়ে আবেদন করেন বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমানের ছেলে রাজু। এ নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজুর পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবু। পরে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বরগুনা সদর থানার কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শামীম রেজা একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তের সময় এ জালিয়াতির টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধের তথ্য পায় পুলিশ। পরবর্তীতে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার কাউন্সিলর রইসুল আলম রিপনের কাছে এ জালিয়াতির জন্য জমা থাকা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বরগুনার তৎকালীন সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. সিরাজুল ইসলাম।
এ মামলায় জামিনে থাকা রইসুল আলম রিপন এবং রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুর জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন তারা। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন আরাফাতের আদালতে পাঠান।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, আসামিরা নির্দোষ। অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। আমরা তাদের জামিনের জন্য আবেদন করবো।—কালের কন্ঠ