মা দুর্গার বিসর্জনে ছিল না শোভাযাত্রা-আনন্দ আয়োজন

  • আপডেট টাইম : অক্টোবর ২৬ ২০২০, ০৬:১১
  • 712 বার পঠিত
মা দুর্গার বিসর্জনে ছিল না শোভাযাত্রা-আনন্দ আয়োজন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

শারদীয় দুর্গোৎসবে বিজয়া দশমীতে ছিল না সেই চিরচেনা আনন্দ উৎসব। এমনকি কোনো শোভাযাত্রাও চোখে পড়েনি। ঢাকের বাদ্য ও অশ্রুভেজা ভালোবাসায় দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন ভক্তরা। বিশ্ববাসীর করোনা মুক্তিই ছিলো এবারের পূজায় ভক্তদের প্রধান প্রার্থনা।

সোমবার সকালে বিজয়া দশমীর ‘বিহিত পূজায়’ ষোড়শ প্রচার পূজার পাশাপাশি দেবী প্রতিমার হাতে জরা, পান ও শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে দশমী বিহিত পূজার লগ্ন শুরু হয়। বিজয়া দশমীর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সিঁদুর খেলায় মত্ত ভক্তরা। এরপর বেলা দেড়টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নান ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে বিসর্জনে শোভাযাত্রার সমারোহ ছিলো না। দুপুরের পরপরই বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে ঘাটের পথে রওনা হন ভক্তরা। শঙ্খ আর উলুধ্বনির সঙ্গে চলে খোল-করতাল-ঢাক-ঢোলের সনাতনি বাদ্য। কঠোর নিরাপত্তা কীর্তণখোলা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিমা ঘাটে নেওয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন শেষে মন্দিরে শান্তির জল নিয়ে আসা হয়; সন্ধ্যায় মণ্ডপে করা হয় আশীর্বাদ।

গত ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় ‘আনন্দময়ীর’ নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল, দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনে তার সাঙ্গ হলো। ‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে দেবী দুর্গা এক বছরের জন্য ফিরে গেলেন ‘কৈলাসের শ্বশুরালয়ে’; সমাপ্তি হল বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসবের। দেবী এসেছিলেন দোলায় চড়ে, ফিরে গেলেন (গমন) হাতিতে চড়ে। হাতিতে চড়ে গমনে দূর্যোগ কেটে যাবে, শস্য ফলন ভালো হবে। সুখ-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে পৃথিবী। এবার দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার কাছে ভক্তদের প্রার্থনাও ছিলো তাই। করোনার মতো ভয়াবহ দূর্যোগ থেকে মুক্তি।

পুরোহিত রাজীব গাঙ্গুলী কালের কণ্ঠকে জানান, মায়ের পূজায় প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে মুক্তিলাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এছাড়া ২৩ অক্টোবর সপ্তমীর দিনে দুপুর ১২টা এক মিনিটে করোনা মুক্তির জন্য সারাদেশে মণ্ডপে মণ্ডপে বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়। ভক্তদের এই মনোবাসনা মা দ্রুতই পূরণ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

চন্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধও প্রদান করা হয়। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সীমিত করা ও সন্ধ্যায় আরতির পরই পূজা মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়। পূজার সময় বেশিরভাগ ভক্ত অঞ্জলি নিয়েছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।

এ বছর সারাদেশে ৩০ হাজার ২২৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে। গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি।

শারদীয় দুর্গোৎসবে বিজয়া দশমীতে ছিল না সেই চিরচেনা আনন্দ উৎসব। এমনকি কোনো শোভাযাত্রাও চোখে পড়েনি। ঢাকের বাদ্য ও অশ্রুভেজা ভালোবাসায় দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন ভক্তরা। বিশ্ববাসীর করোনা মুক্তিই ছিলো এবারের পূজায় ভক্তদের প্রধান প্রার্থনা।

সোমবার সকালে বিজয়া দশমীর ‘বিহিত পূজায়’ ষোড়শ প্রচার পূজার পাশাপাশি দেবী প্রতিমার হাতে জরা, পান ও শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে দশমী বিহিত পূজার লগ্ন শুরু হয়। বিজয়া দশমীর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সিঁদুর খেলায় মত্ত ভক্তরা। এরপর বেলা দেড়টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নান ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে বিসর্জনে শোভাযাত্রার সমারোহ ছিলো না। দুপুরের পরপরই বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে ঘাটের পথে রওনা হন ভক্তরা। শঙ্খ আর উলুধ্বনির সঙ্গে চলে খোল-করতাল-ঢাক-ঢোলের সনাতনি বাদ্য। কঠোর নিরাপত্তা কীর্তণখোলা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিমা ঘাটে নেওয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন শেষে মন্দিরে শান্তির জল নিয়ে আসা হয়; সন্ধ্যায় মণ্ডপে করা হয় আশীর্বাদ।

গত ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় ‘আনন্দময়ীর’ নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল, দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনে তার সাঙ্গ হলো। ‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে দেবী দুর্গা এক বছরের জন্য ফিরে গেলেন ‘কৈলাসের শ্বশুরালয়ে’; সমাপ্তি হল বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসবের। দেবী এসেছিলেন দোলায় চড়ে, ফিরে গেলেন (গমন) হাতিতে চড়ে। হাতিতে চড়ে গমনে দূর্যোগ কেটে যাবে, শস্য ফলন ভালো হবে। সুখ-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে পৃথিবী। এবার দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার কাছে ভক্তদের প্রার্থনাও ছিলো তাই। করোনার মতো ভয়াবহ দূর্যোগ থেকে মুক্তি।

পুরোহিত রাজীব গাঙ্গুলী কালের কণ্ঠকে জানান, মায়ের পূজায় প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে মুক্তিলাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এছাড়া ২৩ অক্টোবর সপ্তমীর দিনে দুপুর ১২টা এক মিনিটে করোনা মুক্তির জন্য সারাদেশে মণ্ডপে মণ্ডপে বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়। ভক্তদের এই মনোবাসনা মা দ্রুতই পূরণ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

চন্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধও প্রদান করা হয়। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সীমিত করা ও সন্ধ্যায় আরতির পরই পূজা মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়। পূজার সময় বেশিরভাগ ভক্ত অঞ্জলি নিয়েছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।

এ বছর সারাদেশে ৩০ হাজার ২২৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে। গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!ইডেনের গ্যালারিতে বসেই ধূমপান, প্রবল সমালোচনআরো ১১৮ বুদ্ধিজীবীর তালিকা দিল মুক্তিযুদ্ধ মঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালেরভারতে উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশপুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে প্রাথমিক-মাধ্যমিক প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু চলতি মাভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল মেয়েরাপাকিস্তানে ইমরান খানের জেলে হামলা, আটক ৩জাতির পিতা সংবিধানে নারীদের অধিকার নিশ্চিত কপিরোজপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত:
%d