বরিশাল ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। আত্মরক্ষার্থে লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও আত্মীয়স্বজনেরা পালিয়ে যায়। ৎ রোববার (২৫ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জব্দকাঠী গ্রামের জলিল মাঝির ছেলে অহিদুল মাঝির সঙ্গে পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী গ্রামের ইসমাইল ফকিরের মেয়ে সেলিনা বেগমের (৩৫) ৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। এরই মধ্যে তাদের দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে স্বামী অহিদুল মাঝি স্ত্রী সেলিনা বেগমকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী সেলিনা বেগম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রোববার ভোরে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। এ সময় পরিবারের লোকজন ঘরে না থাকায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বামীসহ আত্মীয়স্বজনেরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভর্তির ঘণ্টা দুই এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিনা মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুব্রত কর্মকার জানান, এ সময় স্বামী ও আত্মীয়স্বজনরা মীমাংসা করার চেষ্টার করলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আসার খবর টের পেয়ে স্বামী অহিদুল মাঝিসহ আত্মীয়স্বজনেরা লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করে।
কাউখালী থানা পুলিশের ওসি জানান, পুলিশ ধারণা করছে, মারধরে নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা গ্রহণ প্রস্তুতি চলছে। এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। কিন্তু কেন নারীকে মারধর করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’