বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে রোগীদের মোবাইল চুরি

  • আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১১ ২০২১, ০৬:৪৩
  • 674 বার পঠিত
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে রোগীদের মোবাইল চুরি
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের গুজব ছড়িয়ে মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানিয়েছেন, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাসপাতালে সূত্র জানান, শনিবার বেলা ২টার দিকে হঠাৎ করে হাসপাতালের মূল ভবনের দোতলার পূর্ব পাশে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পরে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিছু লোক আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় দোতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত পূর্বপাশের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগী ও স্বজনরা তারাহুরা করে নীচে নামতে থাকেন। যারা নীচে নামছিল তারা কেউই আগুন লাগার দৃশ্য দেখেননি। এমনকি কোথায় লেগেছে তাও বলতে পারছেন না। পরে হাসপাতালের স্টাফরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দোতলার শিশু ওয়ার্ডে কিছু লোক আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করলে রোগীসহ সবাই দৌড়ে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে হাসপাতাল ভবনের বাহিরে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে জড়ো হয়। সেই ফাঁকে বেশ কিছু ওয়ার্ড থেকে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোগীর স্বজনরাদের ধারনা সংঘবদ্ধ চোরচক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে, বড় ধরণের চুরি সংগঠিত করার লক্ষ্যে।

শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে- ওয়ার্ডটি আগুন লাগার ঘটনাই ঘটেনি। ঘটনার সময় একজন অধ্যাপকসহ চিকিৎসকরা ওয়ার্ডেই ছিলেন। দুজন লোক আকস্মিক আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করলে সবাই ওয়ার্ডে ভেতর থেকে বাহিরে দৌড়ে চলে যান। আর এ সময়ের মধ্যেই ওয়ার্ডের ভেতর থেকে দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়।

হাসিনা নামে অপর একজন বলেন, ঘটনার আগে এক শিশু রোগীর স্বজন মোবাইলে চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সকেটে চার্জার প্রবেশ করাতে গিয়ে স্পার্ক করে, তবে কোনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। ওই সময় মহিলা একটু ভয় পেয়ে আতকে উঠলে পাশে থাকা লোকজন আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও আসেন তবে কোথাও কেউ আগুন খুঁজে পায়নি।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, আগুন লাগার কথা শুনে কেউ আর তা যাচাই করেননি। রোগী ও তাদের স্বজনরা দৌড়ে হাসপাতাল ভবনের বাহিরে চলে আসেন। হাসপাতালের স্টাফরা তাদের বারণ করলেও তারা শোনেননি। পরে অনেক বুঝিয়ে আগুন যে লাগেনি তার নিশ্চয়তা দিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের স্ব স্ব ওয়ার্ডে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মোবাইল চুরির খবর পাচ্ছি।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, ঘটনাটি এক ধরনের প্রতারণামূলক। আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে রোগীদের মালামাল চুরির চেষ্টা চালানো হয়েছে। মৌখিকভাবে কিছু মোবাইল খোয়া যাওয়ার কথা শুনছি। তবে কেউ লিখিত দেয়নি। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পর্যালোচনা করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর কেউ ঘটাতে না পারে। সেইসাথে আজকের ঘটনা পরিকল্পিত হয়ে থাকলে আর তা তদন্তে বেরিয়ে আসলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!ইডেনের গ্যালারিতে বসেই ধূমপান, প্রবল সমালোচনআরো ১১৮ বুদ্ধিজীবীর তালিকা দিল মুক্তিযুদ্ধ মঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালেরভারতে উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশপুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে প্রাথমিক-মাধ্যমিক প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু চলতি মাভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল মেয়েরাপাকিস্তানে ইমরান খানের জেলে হামলা, আটক ৩জাতির পিতা সংবিধানে নারীদের অধিকার নিশ্চিত কপিরোজপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত:
%d