১২ বছর ও তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার ব্যবস্থা হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১৫ ২০২১, ০৭:৩০
  • 681 বার পঠিত
১২ বছর ও তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার ব্যবস্থা হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ক্রমান্বয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রাার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা; মন্ত্রণালয়ে নেওয়া প্রতিবন্ধীদের কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা ও শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে বয়সসীমা ১৮ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, সরকারের পদক্ষেপে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে দ্বিপাক্ষিক চূক্তির আওতায় চার কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজ বা তার বেশি টিকা পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অক্টোবর থেকে প্রতিমাসে দুই কোটি হিসাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি সিনোফার্ম টিকা পাওয়া যাবে।

করোনার সংক্রমণ এখনও চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি সবার সহযোগিতায় চলমান এই বৈশ্বিক মহামারী সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এজন্য টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা প্রদান করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদ নেতা জানান, চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হ”েছ। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মজুদ ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ। এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ সর্বমোট ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যখন কোন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া যায়, তাহলে ওই কমিউনিটিতে আর সংক্রমণ হয় না। হার্ড ইমিউনিটি তৈরীর জন্য প্রতি ১শ’ জনের মধ্যে কতজনকে টিকা দিতে হবে তা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয় এবং কোভিড-১৯ এর বেলায় এটি কত হবে তা নির্ধারণ করা যায়নি। যা এখনও গবেষণাধীন রয়েছে। সেজন্য ১৮ বছরের ওপরের সকল বাংলাদেশী নাগরিককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!ইডেনের গ্যালারিতে বসেই ধূমপান, প্রবল সমালোচনআরো ১১৮ বুদ্ধিজীবীর তালিকা দিল মুক্তিযুদ্ধ মঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালেরভারতে উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশপুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে প্রাথমিক-মাধ্যমিক প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু চলতি মাভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল মেয়েরাপাকিস্তানে ইমরান খানের জেলে হামলা, আটক ৩জাতির পিতা সংবিধানে নারীদের অধিকার নিশ্চিত কপিরোজপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত:
%d