বরিশাল ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার॥ বরিশাল নদীবন্দরে বিক্রি করা টিকেট পুনঃরায় বিক্রি করার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে ধরা পড়ার পর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআইডব্লিউটিএ) তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বদলী করা হয়েছে বন্দর কর্মকর্তাকে।
বরখাস্তরা হলেন- শুল্ক আদায়কারী মো. ফারুক সর্দার, মাসুদ হোসেন খান এবং মো. মনির হোসেন।
শনিবার এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগ ওঠায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ২৮ জুন বরিশাল নদীবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। অভিযানে নদী বন্দরের ২ নম্বর কাউন্টারে বিক্রি করা ৮৬৩টি টিকেট ড্রয়ার ও ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়। ওইসব টিকেট যাত্রীদের কাছে ফের বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছিল।
অভিযোগ আছে- টিকেট কেটে যাত্রীরা পন্টুনে প্রবেশের সময় গেটে দায়িত্বনত কর্মচারীরা টিকেটটি না ছিড়ে রেখে দেন। পরে ঐসব টিকেট আবার বিক্র করা হয়। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজশ^ হারায়। অন্যদিকে, এক নম্বর কাউন্টারে বিক্রি হওয়া টিকেটের দামের চেয়ে বেশি টাকা পওয়া যায়। একই টিকেট একাধিকবার বিক্রি করায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তাদের ধারণা।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক ওয়াকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, “এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। আরও ১২ জনকে বদলি করা হচ্ছে।”