বরিশাল ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
দি বরিশাল ডেস্ক।। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সাউথপুর গ্রামে এ অগিকাণ্ড ঘটে।
আগ্নিকাণ্ডে সাবেক ইউপি সদস্য মো. আহসান কবির, রাজাপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আতিকুর রহমান ফারুক, প্রয়াত আলম হাওলাদার ও তার ভাই টিপু হাওলাদার, জেসমিন বেগম এবং কামরুজ্জামান শিমুলের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আহসান কবিরের ছেলে মো. বাপ্পি হাওলাদারকে (৩০) পিটুনি দেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আহসান কবিরের মেজ ছেলে বাপ্পি একজন মাদকসেবী। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই ঘরের মধ্যে ভাঙচুর করতেন। এলাকাবাসীর চাপে তাকে সুস্থ করতে একাধিকবার রিহ্যাব ও জেলহাজতে রাখতে বাধ্য হয় বাপ্পির পরিবার। মা নেহার কবিরের অনুরোধে কয়েকমাস আগে বাপ্পিকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
শুক্রবার বিকেলে বাপ্পি তার পরিবারের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে বাপ্পি তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তাদেরসহ ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত আতিকুর রহমান ফারুক ও দুবাই প্রবাসী শামিমের স্ত্রী নিলা বেগম জানান, বাপ্পি মাদকের টাকার জন্য নিজেদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই আগুনে আমাদের ছয়টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এর আগেও বাপ্পি মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে নিজেদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তাকে মারধর করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাপ্পির বাবা আহসান কবির কোনো মন্তব্য করেনি।
রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল খালেক বলেন, ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের কারণ এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে।
রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে কারও কাছ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।
সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম