বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকাল ১০টায় পিয়াজ কিনতে লাইনে দাড়িয়েছেন আবুল কালাম। পেশা বলতে চাইলেন না। তবে পোষাক দেখে মধ্যবিত্ত মনে হয়। তিনি এক কেজি পিয়াজ পেলেন বেলা ১২ টায়। পিয়াজ কিনতে পেরে মনে হল তিনি বিশ^কাপ ফুটবল খেলা দেখার টিকেট কিংবা ঈদে ট্রেনের টিকেট পেয়েছেন।মূখের অবয়ব বলছে- তিনঘন্টা অপেক্ষা তার যেন সার্থক। আর যারা লাইনের শে প্রান্তে তাদের ভাবনা পিয়াজ পাবতো?
বরিশালে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে টিসিবির ৪৫ টাকা দরের পেঁয়াজ বিক্রি। আর এ পেঁয়াজ কিনতে সকাল থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়েছেন মহিলা-পুরষ ও বিভিন্ন বিত্তবান সহ সাধারন শ্রেনীর বহু মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ভ্রাম্যমান পেঁয়াজ বিক্রিরস্থলে রাখা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
রোববার সকাল থেকে বরিশাল নগরের নির্ধারিত ৬টি পয়েন্টে খোলা বাজারে এ পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবির ডিলাররা।
পেঁয়াজগুলো আকারে বড় হলেও খুচরা ও পাইকারি বাজারের থেকে দাম কম হওয়ায় সকাল থেকেই টিসিবির ডিলারদের ট্রাক ঘিরে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পেঁয়াজ কিনতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
এদিকে বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো বরিশালেও পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। এ কারণে গত ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
প্রথম দফায় ৫ হাজার কেজি পেঁয়াজ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে খোলাবাজারে ৪৫ টাকা দরে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। তবে গত কয়েকদিন বন্ধ থাকার পরে আজ রবিার ১ ডিসেম্বর থেকে আবারও খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের জন্য ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৪৫ টাকা দরের এ পেঁয়াজ বরিশাল নগরের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে (খোলা বাজারে) টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো হলো- বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর, বরিশাল সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে, আমতলা মোড় পানির টাংকি সংলগ্ন, বটতলা চৌমাথা বাজার, নাজিরের পুল এবং রুপাতলী চান্দুর মার্কেট এলাকা। এদিকে টিসিবি সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা চালান থেকে বিক্রির জন্য ৫ জন ডিলারকে ১ হাজার কেজি করে মোট ৫ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে।