বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
ডেস্ক রিপোর্ট।। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন এগিয়ে আনার দাবিতে আদালতে অবস্থান নিয়ে তুমুল হট্টগোল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ; আদালত আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দিয়ে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভিসি আমাকে ইনফর্ম করেছেন, খালেদা জিয়ার কিছু টেস্ট হয়েছে, কিছু টেস্ট বাকি আছে। এর জন্য সময়ের প্রয়োজন। এ সময় পুরনো একটি মেডিকেল প্রতিবেদন আদালতে দিয়ে খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।
এরই এক পর্যায়ে হইচই শুরু করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। হইচই ও চেঁমামেচির সময় বিব্রত হয়ে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। এরপর থেকে আদালতে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থি আইজীবীরা। কিছু সময় বিরতির পর আবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে খালেদার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে রোববার দিন নির্ধারণের আবেদন করেন তারা।
তবে আপিল বেঞ্চ এ সময় তারিখ না পরিবর্তনের কথা বলেন। দুপুরের দিকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতি যখন এজলাসে অবস্থান করছিলেন; তখনও দফায় দফায় হট্টগোল করেন বিএনপির আইনজীবীরা।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের সময় আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালতকক্ষ থেকে কাউকে বের হতে বা নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিতে চাইছিলেন না। আদালত কক্ষে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বেইল ফর খালেদা জিয়া’- বলে স্লোগান দেন তারা।
এদিকে বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোলের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সময়ে আদালতে এমন ঘটনা আর দেখিনি। জনসভায় যেমন হট্টগোল হয় সেরকম হট্টগোল তারা আদালতে করেছে। তাদের বিশৃঙ্খলার জন্য আজ আদালত উঠে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তারা আদালতের কার্যক্রম ঠিকমতো চালাতে দেয়নি। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা সবাই এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাবো।
গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সূত্র- সমকাল