বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
একটি চরের প্রায় ১০০ একর জমির পাকা ধান, সাতটি গরু, ১১টি ছাগল এবং হাঁস-মুরগি লুটের অভিযোগ উঠেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চরে পার্শ্ববর্তী ভোলার আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে। তিনি ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিজানের নেতৃত্বে গত তিন দিন ধরে ওই চরে লুটপাট চালায় তার বাহিনী। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার মেঘনা নদী তীরবর্তী গোবিন্দপুর গুচ্ছগ্রাম বাজারে বিক্ষোভ করেছে চরের নারী-পুরুষ।
কৃষক আব্দুর রহমান ও আলাউদ্দিন দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুম শুরুর আগে ভোলা সীমান্তের লোকজন গোবিন্দপুর চরে প্রবেশ করে ধান, গরু, ছাগলসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। এই ধারাবাহিকতায় গত দুই দিন ধরে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে চলেছে লুটপাট।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালেও মিজানের নেতৃত্বে চরের ধান ও গরু-ছাগল লুট করেছে মিজান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার দস্যু বাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গম গোবিন্দপুর চরের একাংশ হিজলা থানা এবং অপরাংশ মেহেন্দিগঞ্জ থানার আওতাধীন হওয়ায় থানা পুলিশে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান। দৈনিক আমাদের সময়কে তিনি জানান, তার কোনো লোকজন নেই। তিনি ওই চরে যান না। ওই চরের ধানও তিনি খান না। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবিদুর রহমান এবং হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, গোবিন্দপুর চরের ধান কিংবা গবাদি পশু লুটের কোনো অভিযোগ তারা পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।