বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে (১৪) জোড়পূর্বক ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে পুলিশ আল আমিন (৩০) ও কবির (৩০) দুই জন গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনার মূল হোতা ফরহাদ খাঁ (১৯) পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে মহিপুর থানায় তিন জনের
আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রীর পিতা। উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুসুল্লিয়াবাদ দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্তক্ত্য ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো ফরহাদ খাঁ। মামা আল আমিন ও কবিরের বাসায় বেড়াতে আসা ফরহাদ বাঘেরহাট জেলার শরখোলা থানার রায়েনদা খাঁ বাড়ির মনির খাঁয়ের ছেলে ফরহাদ। এতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ১৪ ডিসেম্বর রাত
সাড়ে বারোটার পর বাসায় বাবা-মায়ের অনুপস্থিতে কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাহিরে বের হলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ফরহাদ ও তার দুই সহযোগী আল আমিন ও কবিরের সহায়তায় ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ঘরেরপিছনে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। গভীর রাতে একই বিছানায় থাকাদাদী কমলা বেগম নাতিকে না দেখে ঘরের বাহিরে এসে তাঁকে অচেতন ও বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। কিশোরীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে পরদিন অভিযুক্ত ফরহাদ পালিয়ে যায়।
কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৬ ডিসেম্বর তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে বলে তারা জানান। মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পিতা থানায় মামলা দায়েরের পরই দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামী ফরহাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।