বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে রাজাকার পরিবারের সদস্যদের দখল করা, দাদীর জমি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ন এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার খন্দকার তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, কুখ্যাত মোতাহার খন্দকার ও তার ভাই খলিল খন্দকার ৭১ সনে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক নিহত হওয়ার পর তাদের আপন চাচাতো ভাই আলতাফ খন্দকার এবং তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে নুরুল ইসলাম খন্দকার ১৯৭১ সনে হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাটের নায়ক ছিলেন। নুরুল ইসলামের বড় ভাই মৃত শামসুল হক খন্দকারের পুত্র মাহাবুব খন্দকার ২০১৮ সনে পটুয়াখালীর সাবেক সদর এসি ল্যান্ড নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কর্মরত অবস্থায় ডিসি কোর্টের সামনে কলাতলা বাজারের সরকারী জমি উদ্ধার করার সময় ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছিত করেছিল। এ ঘটনায় মাহাবুবের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং জেল হাজতে ছিল। কিছুদিন জেলে থাকার পর জেল থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর নুরুল ইসলাম খন্দকার ও তার ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব খন্দকার, ইউসুফ আলী মাস্টারের ছেলে মোশতাক ও মোস্তাফিজুর রহমান, আঃ করিম মুন্সির ছেলে আমজেদ আলী গং সমন্বয়ে নেপথ্যে আলতাফ খন্দকারের ইন্দনে ও হুকুমে এলাকার মানুষের জমি, বাড়ি-ঘর দখল করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এদের ভয়ে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন, তখন তিনি পটুয়াখালীতে এসেছিলেন। সে সময় কলাতলা বাজার এলাকায় মৃত্যুপথযাত্রী আওয়ামীলীগের নেতা লতিফ খন্দকারকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর কিছুদিন পর লতিফ খন্দকার মারা যান। ওই লতিফ খন্দকারের মায়ের নামে এবং সাত্তার খন্দকারের দাদীর নামে ও মৃত কবি খন্দকার খালেকের মায়ের নামে প্রায় এক বিঘা করে প্রায় তিন বিঘা জমি ১৯৩১ সনে তিন ভাই তাদের স্ত্রীর নামে অর্থাৎ সাত্তার খন্দকারের দাদীর নামে ক্রয় করেছিলেন। ২০১৮ সনের রমজান মাসে সাত্তার খন্দকার যখন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় অবস্থানকালে আলতাফ হোসেনের লুটেরা বাহিনী দাদীর প্রায় একবিঘা জমি দখল করে নেয়। তিরিশ বছর পূর্বে ওই জমিতে নির্মিত বড় একটি টিনের ঘর থেকে লোকজনদেরকে বের করে দিয়ে বসত ঘরটিও দখল করে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল সাত্তার খন্দকার জানান, উক্ত জমি ফিরিয়ে পেতে স্থানীয়ভাবে অনেক সালিশ বিচারের চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজাকার পরিবারের সদস্যদের কবল থেকে দাদীর জমি ফিরিয়ে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাত্তার খন্দকার।