বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
গৌরনদীর এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের তিন দিন পর অপহৃত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে আটক করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কবিরাজ পরিমল মিত্র (৬৫) নামের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।এ সময় অপহরণকারী তিন সদস্য সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামের হাফেজ ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), চান মিয়া মোল্লার ছেলে সোবাহান মোল্লা (২২) এবং মস্তফাপুর গ্রামের রফিক ভুঁইয়ার ছেলে মনির ভুঁইয়াকে (৩৭) আটক করে। অপহৃত পরিমল মিত্র পেশায় একজন কবিরাজ।
শুক্রবার রাতে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, কবিরাজ পরিমল মিত্র গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টার সময় নিজ বাড়ি গৌরনদী হতে তার মেয়ে জামাই বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।
পথিমধ্যে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা কবিরাজ পরিমল মিত্রকে জানায় তারা কবিরাজি চিকিৎসা নেবে। তাই মাদারীপুর সদর উপজেলার তাতিবাড়ী বাজারের সোবাহান মোল্লা নামক এক ব্যক্তিকে ওষুধ দিতে হবে বলে অপহরণকারীরা জানায়।
পরবর্তীতে পরিমল মিত্র ওই দিন সকাল ১০টার সময় মাদারীপুর সদর উপজেলার তাতিবাড়ী বাজারে পৌঁছালে অপহরণ চক্রের সদস্য রোগী দেখানোর কথা বলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণ চক্রের অপর সদস্য সোবাহান মোল্লার বসত ঘরে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে অপহৃতের পরিবার বরিশাল জেলার গৌরনদী থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন এবং ওই অপহৃতকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের কাছে সহায়তা কামনা করেন। পরিবারে আবেদনের পর গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অপহৃত পরিমল মিত্রকে অপহরণ চক্রের সদস্য সোবাহান মোল্লার বসতবাড়ি হতে উদ্ধার করেন। এ সময় মূল অপহরণকারীরা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরও হাতে নাতে আটক করা হয়।
আটকদের মাদারীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন বলে র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান।