বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার \ বাজার রোডের খাজা মাঈনুদ্দিন চিসতি কওমি মাদ্রাসার আর্থিক হিসাব নিয়ে বিরোধের জের ধরে এলাকাবাসীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কমিটির সভাপতি এবায়েদুল হক চানসহ কমিটির সদস্যরা। উত্তেজিত জনতা এক পর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়। শনিবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এবায়েদুল হক চান জানিয়েছেন যুবলীগের সদস্যের নেতৃত্বে উদ্দেশ্য প্রনেদিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে আর্থিক কোন অনিয়ম নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
জানা গেছে, বাজার রোডের খাজা মাঈনুদ্দিন চিসতি মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছিল বেশ কিছুদিন যাবত। এলাকাবাসীর অভিযোগ এখানে আর্থিক দুর্নীতি ঘটছে। মাদ্রাসার কিছু শিক্ষকও কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। শনিবার বেলা ১১টায় কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা এবায়েদুল হক চান, সহসভাপতি আঃ রাজ্জাকসহ কমিটির সদস্যরা যখন সভা করছিলেন, সে সময়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে হাজির হন। তাদের সাথে ১জন যুবলীগ নেতাও ছিলেন। তারা আর্থিক অনিয়মের বিষয় নিয়ে তর্ক শুরু করেন। এক পর্যায়ে সহ সভাপতি রাজ্জাককে লাঞ্ছিত করা হয়। গুঞ্জন রয়েছে উত্তেজিত এলাকাবাসীর হাতে লাঞ্ছিত হন চানও। এদের রুম থেকে বের করে রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এবায়েদুল হক চানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এলাকার কিছু যুবক এসে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এখানে আর্থিক কোন অনিয়ম নেই বলে তিনি দাবি করেন। তিনি কমিটির সভাপতি। কেউ কমিটি ভেংগে দিতে চাইলেও এটি নিয়ম বহির্ভত হওয়ায় কমিটি ভাংগা সম্ভব নয় বলে জানান। কওমি মাদ্রাসার মধ্যে নুরানী মাদ্রাসা স্থাপন করাটা সমুচীন হয়নি বলে তিনি বলেন। এ নিয়েই বিরোধের শুরু। কয়েক শিক্ষক এতে লাভবান হলেও মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নুরানী মাদ্রাসায় প্রতিদিন কয়েকশত মহিলা হাজির হন । এতে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। চান জানান মাদ্রাসার পিছনে যে জায়গা আছে তার মূল্য কোটি টাকার উপরে। এটি নিয়েও চক্রান্ত চলছে। মূলত এ চক্রান্তকারীরাই এখন কমিটি বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছে।