বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
ঢাকা সিটি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছয় গণমাধ্যমকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা নাজেহাল ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন।
রাজধানীর পৃথক ভোটকেন্দ্রে হামলায় আহতরা হলেন- অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামীনিউজ.কমের রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফটো এজেন্সি প্রেস বাংলা এজেন্সি (পিবিএ)-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্য জিসাদ ইকবাল, দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক মাহবুব মমতাজি, ডেইলি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদক নূরুল আমিন এবং পরিবর্তন ডটকমের ফটো সাংবাদিক ওসমান গনি।
সকালে মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে রামদা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয় সুমনকে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিকুঞ্জে জানে আলম স্কুল কেন্দ্রে জিসাদ ইকবালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। তার ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটির মাদারটেক স্কুল কেন্দ্রে কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসানের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে দুপুরে রামপুরার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দ্য ডেইলি স্টারের এক সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে অবশ্য তা ফিরিয়ে দেন তারা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাজনীন স্কুল কেন্দ্রে মানবজমিনের নারী সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে দেওয়া হয়।