বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার \ বরিশালে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রে নগরীর হালিমা খাতুন বালিকাস্কুল কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ২০জন পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ঐ কেন্দ্রে আসন পড়া জগদীশ সরস্বতী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম।
তিনি জানান, তার স্কুলের ২০ পরীক্ষার্থীর ২০১৯-২০ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পরে তাদের পাঠক্রমের সঙ্গে প্রশ্নের কোনো মিল পাইনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলেও পরীক্ষা শেষে এর কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়া ওই প্রশ্নের খাতায়ও কোনো উত্তর দিতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তমুল হট্টগোল শুরু হয়। অভিভাবকরা স্কুলে ঢুকে আন্দোলন শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। আসেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুচ। তিনি উত্তেজিত অভিভাবকদের শান্ত করেন। যে কয়জন পরীক্ষার্থীর কাছে ভুল প্রশ্ন যায় তাদের প্রবেশপত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের কোনরকম ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি আস্বস্থ্য করেন। বোর্ড চেয়ারম্যান এ ঘটনার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন যারা মঙ্গলবারই কাজ শুরু করবেন বলে জানান। তবে ২০১৮ সিলেবাসের এ পরীক্ষার্থী জানান, এ প্রশ্ন অনেক সহজ ছিল। কিছু লিখতে পারিনি এটা ঠিক নয়।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানান, ঐ কেন্দ্রে ২০১৮ সালের অনিয়মিত ২০জন পরীক্ষার্থী ছিল। মূলত তাদের জন্যই এ প্রশ্ন। তবে যাদের হাতে এ প্রশ্ন গিয়েছে তাদের উদ্বিগ্ন হবার কিছু ছিল না। এটি ছিল একই মান বন্টনের
(৭০+৩০) প্রশ্ন। এ ছাড়া এবারের প্রশ্নের চেয়ে ঐ প্রশ্ন ছিল অনেক সহজ। তারপরও বোর্ড বিশেষভাবে খাতা মূল্যয়ন করবে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন।