বরিশাল ১১ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ১২ই মহর্রম, ১৪৪৪ হিজরি
শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল- ভোলা মহাসড়কের বরিশাল সদর উপজেলার দূর্গাপুর নামক স্থানে নির্মিত বরিশাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ভবন,মাল্টিপারপাস ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং টিসার্স কোয়াটার ভবন, ছাত্র-ছাত্রী নিবাস সহ ১৮টি কমপোন্ডেট সকলস্থরের প্রকল্পের কাজ ইতি মধ্যে সফলতার অর্জনের মাধ্যমে দ্রুত সম্পূর্ন করে কারিগরী শিক্ষা মন্ত্রালয় অধিদপ্তরে হস্তান্তর করেছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে বরিশাল সদর উপজেলার দূর্গাপুর নামকস্থানে সড়ক থেকে ৮ফুট নিছুস্থানের ৮ একর জমি অধিগ্রহন করে ২০১৩ সালের ১৯ই ডিসেম্বর কাজের ভিত্তিপ্রস্থর করার পর থেকে উক্ত জমিতে নতুন করে বালু ও নতুন মাটি ফেলে জমি ভরাট করার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তাগন। নির্ধারিত সময় ধরে দেয়ার পূর্বে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ কমপোন্ডেটের কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করার মাধ্যমে এক বিরাট সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়ীতদ্বশীল কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশল মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার দূর্গাপুরে সরকারী ভাবে যে জমি অধিগ্রহন করার হয় সেখানে এক সময় সড়ক থেকে ৭ থেকে ৮ ফুট নিছু ধানী জমি ছিল। একইতো নিচু জমি তার ভিতরের চারদিকে পানিতে তৈম্বুর ছিল সেজমিতে নতুন করে বালু ও মাটি ফেলে বরিশাল- ভোলা মহাসড়কের সাথে মিল রেখে সেখােেন সয়েল বয়ালিং হতে থাকে তা নিয়ন্ত্রন করা সহ জমি ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কাজে আমাদের
হাত দিতে হয়। দীর্ঘ ৬ বছরের কঠোরভাবে কাজের তদারকি করার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেন্ডার সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ থেকে আমাদের দেয়া কাজ বুঝে নিতে হয়।
চারদিকে প্রাচির দেয়াল নির্মাণ সহ ৮ একর জমির উপর ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ভবন সহ কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আরো যেসকল প্রতিষ্ঠান ভবন থাকা দরকার তা ইতি মধ্যে সবই সম্পূর্ন করা হয়েছে। এবং সেই সাথে আমরা ২০১৯ সালের ৩০ই ডিসেম্বর বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রকল্পের সকল ভবন নির্মান সম্পূর্ন করে কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন এত দ্রুততার সাথে বরিশালে আর কোন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে তার
জানা নেই।
সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, একাজের মান ঠিক রাখতে মাঠে তার সর্বক্ষণ খেয়াল রাখা ও দিক নির্দেশনা দেয়ার কারনেই এত তারাতারি এই বিশাল প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব করতে পেরেছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীর কুমার রজক দাস। এত বড় প্রকল্পের কাজ এত দ্রুত শেষ করার বিষয়ে তারা সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।