বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
নগরীর বগুরা রোডের শীতলা খোলা এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ছোট ভাইকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর বড় ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত এক সন্তানের জনক ফরিদ হোসেন খান (৪৫) ঐ এলাকার জেসমিন ভিলার বাসিন্দা মৃত এমএ মজিদ খানের পুত্র। আটককৃতরা হল-নিহতের আপন বড় ভাই শাহে আল খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু ও তার পুত্র নবম শ্রেণির ছাত্র সিয়াম খান। নিহতের অপর ভাই জিয়াউর রহমান খান জানান, তারা ১০ ভাই ও ৩ বোন। এদের মধ্যে ফরিদ হোসেন খান তাদের বাড়ির সামনে থাকা একটি দোকান ভাড়া দিতেন। অতিসম্প্রতি স্টলের ভাড়া নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজাজের কাছে স্টলের ভাড়া আনতে যায় ফরিদ হোসেন। এসময় দোকানের ভাড়াটিয়ার সাথে ফরিদের কথার কাটাকাটি হয়। ফরিদের অপর বড় ভাই শাহ আলম খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু, মজিবর রহমান ও ভাতিজা সিয়ামকে ডেকে আনে। পরবর্তীতে সেখানে ফরিদের সাথে তার অপর ভাইদের তুমুল বাগবিতন্ডার একপর্যয়ে শাহ আলম, মফিজুল ইসলাম খান নান্না, মজিবর রহমান, সিয়াম ফরিদ হোসেনের উপর হামলা চালায়। তারা পাইপ ও ইট দিয়ে পিটিয়ে ফরিদকে গুরুতর আহত করে। এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাকে (জিয়াউর রহমানকে) মারধর করে। পরে গুরুতর আহত ফরিদকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দোকানের ভাড়ার টাকা নিয়ে দ্বন্ধের জেরধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহতের বড়ভাই শাহে আলম খান অপর ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্নু ও তার পুত্র সিয়ামকেও আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি অপর ভাই মজিবর রহমান ও দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজ হোসেনকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। লাশ সুরতহালের জন্য শেবাচিম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।##