বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
বাবর আজম ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ২ রানেই। তাইজুল ইসলামের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারেন বাবর। মিড-অফ থেকে দৌড়ে ইবাদত দুই হাত প্রসারিত করে বল তালুতেও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর জমা করতে পারেননি। জীবন পেয়ে বাবর তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে জীবন পান শান মাসুদও। রুবেল হোসেনের বলে পরাস্ত হন মাসুদ। বল ব্যাটের বাইরে কানায় হালকা পরশ বুলিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। কিন্তু বোলার, উইকেটরক্ষক কেউই আবেদন করেননি।
পরে স্নিকোমিটারে ধরা পড়ে বল ব্যাটে লেগেছিল।ব্যক্তিগত ৮৬ রানে জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। সেঞ্চুরির পরপরই তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন মাসুদ। তৃতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে মাসুদের পার্টনারশিপ ১১২ রানের। ১৬০ বলে ১১ চারে ১০০ রান করেন মাসুদ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৬৬/৩। বাবর ১০৮ ও আসাদ শফিক ২১ রানে ক্রিজে আছেন।
টাইগারদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন আবু জায়েদ রাহী। নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরান পাক অধিনায়ক আজহার আলীকে। এতে ভাঙে পাকিস্তানের ৯১ রানের জুটি। ২২.২তম ওভারে দলীয় ৯৩ রানে রাহীর বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেন আজহার আলী। ৫৯ বলের ইনিংসে আজহার করেন ৩৪ রান। তবে অন্যপ্রান্তে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ওপেনার শান মাসুদ। ৯ ওভারের স্পেলে ২১ রানে দুই উইকেট শিকার পেস তারকা রাহীর।
রাওয়ালপিন্ডিতে দিনের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহী। পাক ওপেনার আবিদ আলী রানের খাতা খোলার আগেই তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশের এ পেস তারকা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আর আলোক স্বল্পতার কারণে সেদিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি পাকিস্তান। শনিবার দিনের প্রথম ওভারে বল হাতে ১ রান দেন বাংলাদেশর অপর পেসার ইবাদত হোসেন। রাহীর ওভার থেকেও আসে ১ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার টসে হেরে ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে দলীয় মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালের উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে অধিনায়ক মুমিনুল হক (৩০), নাজমুল হাসান শান্ত (৪৪), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের (২৫) বিদায়ে চাপ বাড়ে টাইগারদের ওপর। তবে শেষের দিকে মোহাম্মদ মিঠুনের অর্ধশতক, লিটন কুমার দাসের ৩৩ ও তাইজুল ইসলামের ২৪ রানের সুবাদে ২০০-র কোঠা পার করে বাংলাদেশ। ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতকে মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। পাকিস্তানের বল হাতে পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি নেন চার উইকেট।