বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
ভারতকে ভালোই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছবি: আইসিসিভারতকে ভালোই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছবি: আইসিসি
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট অভিষেক দাসের। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান
শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বোলাররা। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম আর তানজীম হাসান সাকিব উজাড় করে দিলেন নিজেদের। তানজিমের তিন ওভারে রান আসে মাত্র এক। শরিফুলের বলগুলোও বারবরই গিয়েছে ভারতের দুই ওপেনারের ব্যাটে হাওয়া লাগিয়ে। শুরুর সেই রাজত্ব ধরে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল বাংলাদেশের যুবারা। যুব বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটিং–লাইনআপকে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানেই থামিয়ে দিয়েছে তারা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে বিশ্বজয় করতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের প্রয়োজন ১৭৮।
বোলিংটা আজ দুর্দান্ত করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যানরা। শরিফুল ইসলাম শুরু করেছিলেন। তানজীম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, রকিবুল হাসান, শামীম হোসেন—সবাই ছিলেন দারুণ। প্রথম ৩৬ ওভারে ১৫১ বলে কোনো রান দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এবারের যুব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সেরা ব্যাটিং লাইনআপকে ২১ ওভার কোনো রান করতে না দেওয়া কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়। বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংটাও হচ্ছে দুর্দান্ত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সত্যিকার অর্থে সুযোগই পাননি হাত খুলে খেলার।
ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল একাই লড়ে যাচ্ছিলেন একদিক ধরে রেখে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আঁটসাঁট বোলিংয়ের মধ্যেও তিনি খেলেছেন নিজের খেলাটাই। এবারের যুব বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তিনি। ব্যক্তিগত ৮৮ রানে তাঁকে তানজীদ হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এই শরিফ ১০ ওভার বোলিং করে ৩১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। যশস্বী জয়সোয়াল ফিরেছেন ১২১ বলে ৮৮ রান করে। ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সেরা সংগ্রহ তিলক ভার্মা। তিনি ৬৫ বলে করেছেন ৩৮। জয়সোয়াল যখন ফেরেন, তখন ভারতীয় দলের সংগ্রহ ১৫৬/৩। তারা শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ২১ রানে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্য শরিফুল ছাড়াও দুর্দান্ত ছিলেন তানজীম হাসান সাকিব। ৮.২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিজের প্রথম দুই ওভারেই মেডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি। অভিষেক দাস উইকেটের দিক দিয়ে সবচেয়ে সফল। তিনি ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাঁ হাতি স্পিনার রকিবুল হাসান নিয়েছেন এক উইকেট।