বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় আদলতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য এক মাস পর দৌলতখান মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী গৃহবধু লাইজু আক্তারের লাশ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহসিন ফারুকের নেতৃত্বে দৌলতখান থানা পুলিশ উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর লাশ উত্তোলন করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহসিন ফারুক জানান, গত (জানুয়ারী) মাসের ২০ তারিখে আমি মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হই। এর এ ঘটনাটি নিয়ে সরজমিনে বেশ কয়েকবার তদন্ত করি। এতে আমার কাছে মনে হয়েছে লাইজু আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে। তাই পূর্বের ময়না তদন্ত রিপোর্টি আমার মনভুত না হওয়ায় আমি আদালতে পুনঃময়না তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তাই আদালতের আদেশে ময়না তদন্তের জন্য এ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ- গত ২ জানুয়ারি রাতে দৌলতখান মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার চরপাতা এলাকার মো. মোশারেফ হোসেন ওরফে মসু সিকদারের মেয়ে লাইজু আক্তারকে তার শ^শুর বাড়ির লোকজন মেরে ঘরে রেখে সবাই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাইজুর শ^শুর বাড়ি সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তুলাতলি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় লাইজুর বড় ভাই ইসমাইল সিকদার বাদি হয়ে লাইজুর স্বামী তানজিলসহ সাত জনকে আসামী করে ভোলা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সকল আসামী পলাতক থাকায় এখনও কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।