বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
ভারত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞাপ্রত্যাহার করে নেওয়ায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রবিবার (১৫ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এদিকে, দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ হারুন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ভারত সরকার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞাপ্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে হিলি স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক আবেদন করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৪/৫ জন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছি। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ায় আজ (রবিবার) সকাল থেকে ভারতের হিলি কাস্টমসে পেঁয়াজ রফতানির উদ্দেশ্যে টেন্ডারপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পর বিকেল পৌনে ৪টায় পেঁয়াজ রফতানি শুরু হয়। এ পর্যন্ত আমরা খবর পেয়েছি, ভারতের হিলিতে ২৫/৩০ ট্রাকের মতো পেঁয়াজ এসেছে, যা ভারতের হিলি পার্কিংয়ে অবস্থান করছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৪টি ট্রাকে ৯২ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে। পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজগুলো দেশেপ্রবেশ করবে। আর দীর্ঘদিন পর আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা দাঁড়িয়েছিল, সেটি কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
এদিকে, হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজভর্তি ট্রাক ঢুকলেও এখনও ক্রেতা পাননি আমদানিকারকরা। এ বিষয়ে আমদানিকারক মাহবুব হোসেনকেপ্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য টনপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার দরে এলসি খুলেছি। ফলে আমাদের আনা পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে ২১ থেকে ২৫ টাকার মতো। এরসঙ্গে গাড়িভাড়াসহ অন্য খরচ ও লভ্যাংশ যোগ করলে আমাদের আমদানির পেঁয়াজের দাম পড়বে ৩০ টাকার মতো। বাজারে এ মুহূর্তে দেশি পেঁয়াজ উঠছে। তাই এখন পর্যন্ত কোনও ক্রেতা আসেনি। আশা করছি ক্রেতা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি ভারতে উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং সরবরাহ বাড়ায় ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞাপ্রত্যাহার করে ২ মার্চ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ রফতানির কথা বলা হয়।