বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
জিয়া শাহীন \ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ২০১৯ সালে খাতা কেলেংকারীর সাথে অভিযুক্ত ১৮ ছাত্রের মধ্যে ১৫জনকে হাইকোর্ট এবছর পরীক্ষা দেবার অনুমতি দিয়েছে। ১৮ মার্চ হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আইনজীবি এ্যাড. নাসিরউদ্দিন বাবুল জানান, অভিযুক্ত ১৮ পরীক্ষাথীর মধ্যে ১৫জন পৃথকভাবে হাইকোর্টে দুটি রিট করে। একটিতে ১২জন, অপরটিতে ৩জন। অভিযুক্তদের একটি মামলায় আইনজীবি ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবি এ্যাড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রিটকারীরা তাদের মামলা বাতিল এবং এ বছর পূনঃ পরীক্ষা দেবার অনুমতি প্রার্থনা করেন। হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চের মহামান্য বিচারকমন্ডলী উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ১৮ মার্চ ১৫ ছাত্রকে আগামী উচ্চ মাধ্যমিকের ফেল করা বিষয়ে পরীক্ষা দেবার অনুমতি প্রদান করেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা চলমান থাকবে বলে জানান এ্যাড. নাসিরউদ্দিন বাবুল।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের সময় ১৮ ছাত্রের খাতা নীরিকষণে ভয়াবহ জালিয়াতি খুজে পায় বোর্ড। বোর্ডে রাখা পরীক্ষার খাতা চাতুরতার সাথে বাইরে নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে লিখিয়ে তা নীরিক্ষা করানো হয়। এ ঘটনায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা দপ্তরের কর্মচারী গোবিন্দ সাহা এবং ১৮ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালাতে মামলা দায়ের করেন। এবং ঐ ছাত্রদের পরীক্ষা থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়। এ সময় গোবিন্দ পালিয়ে যায়। তবে কয়েকমাস পর সে আদালতে আত্মসমার্পন করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে ১৮ ছাত্রের মধ্যে ১৫জন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ছিল।
শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুচ জানান, অভিযুক্তরা মামলা খারিজ এবং তাদের আগের ফলাফল বহাল রাখার জন্য হাইকোর্টে আর্জি পেশ করে। তবে আমরা বিচারকদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি মামলাটি সম্পূর্ন ক্রিমিনাল অফেন্স। শেষ পর্যন্ত মহামান্য বিচারকগণ শুধুমাত্র পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন। পূর্বের ফলাফল বাতিল সংক্রন্ত বোর্ডের সিদ্ধান্ত বহাল এবং মামলা চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।