বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
দি বরিশাল ডেস্ক।। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আজ সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তবে এসময় হাসপাতালসহ জরুরি সেবা খোলা থাকবে। অবশ্য এর মধ্যে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং সাপ্তাহিক ছুটিও অন্তর্ভুক্ত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে কয়েকটি নির্দেশনা ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। অবশ্য হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এর আওতার বাইরে থাকবে। গণপরিবহন চলাচল ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত থাকবে; নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা করবে সরকার। পাশাপাশি করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা ও প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জরুরি প্রয়োজনে ৫০০ চিকিৎসককে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অফিস আদালতের কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি এবং তা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী আজ দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এর আগে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন । এছাড়া প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে সভা ও আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনি কয়েকটি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
আগামী ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি এবং ২৭-২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করছে এবং ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার এবং ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবার জন্য এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।
সেই সঙ্গে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, চিকিৎসা, মৃতদেহের সৎকার ইত্যাদি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেন না আসেন সে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিভিন্ন অফিস আদালতের প্রয়োজনীয় কার্যাবলী অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে।। সরকারি দফতরের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে তারা অফিস খোলা রাখবে।
গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহণ ব্যবহার করবেন তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়িচালক এবং সহকারীদের অবশ্যই মাস্ক ও গ্লভস পরাসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
আগামীকাল ২৪ মার্চ বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।