বরিশাল ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
শামীম আহমেদ ॥ বরিশালে কোভিট নভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্ক সহ অঘোষিত লক ডাউনের মধ্যে নগরীর দেড় শতাধিক দুস্থ বেকার হয়ে পড়া দিন মজুরি অসহায় পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরন করেন বরিশাল জেলা বাসদ নেতৃবৃন্দ।
আজ রোববার (২৯ই) মার্চ বেলা বারটার দিকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে সামনে বসে চার ফুট দুরুত্ব বজায় রেখে সকলকে লাইন দিয়ে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে চার কেজি চাল,তিন কেজি আলু,হাফ লিটার সোয়াবিন তেল,এক কেজি মসুরের ডাল,লবন এক কেজি,এক কেজি পেয়াজ,একটা সাবান ও এক প্যাকেট মশার কয়েল প্রতি জনের হাতে তুলে দেন বরিশাল জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা বাসদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবীব রুমন,সমাজতান্ত্রিক রিক্সা শ্রমীক ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল মল্লিক,সমাজতান্ত্রিক মহিলা দল সভাপতি মাফিয়া বেগম,জাহাঙ্গির হোসেন দিদার ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সুজন আহমেদ প্রমুখ।
এসময় বাসদ বরিশাল জেলা সদস্য সচিব গণমাধ্যমকে বলেন আমরা করোনা ভাইরাস দূর্যাগ মুহুর্তে বাবর বলে এসিেছ এই দেশের সংকটকালীন সময়ে শ্রমজীবী দিন মজুর ও দুস্থদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবী জানিয়ে এসেছি।
সরকার এখন পর্যন্ত দুস্থদের জন্য তেমন কিছুই করতে পারেনি।
এমনকি করোনা দূর্যোগকালীন সময়ে বরিশালের স্থানীয় কোন জন প্রতিনিধি সাধারন দিন মজুর বেকার শ্রমীকদের পাশে এক মুহুর্তের জন্য তারা আসেননি।
আমরা বরিশালে এক মুঠো চালের আন্দোলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি চালু করেছি। আমাদেরকে বিভিন্নস্থান থেকে চাল সহ বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করার কারনেই আজ আমরা সেসকল খাদ্য সংগ্রহ করে সাধারন দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে তুলে দিচ্ছে।
আমাদের ফটো সেশনের কোন বিষয় নেই বরিশাল জেলা বাসদের প্রতিটি কর্মী করোনা ভাইরাসের প্রভাব সৃষ্টি থেকে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্নস্থানে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সাধানর মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছি হ্যান্ড ওয়াস,সাবান ও জীবণানাশক ¯েপ্র দিয়েছি।
আমাদের এই কর্মসূচি দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। আজ সদররোডে দিয়েছি আগামীকাল সদররোড সহ বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে এসকল খাদ্য বিতরন করা হবে।
এসময় মনিষা নগরীর বিত্ববানদের অসহায় দুস্থ শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের পাশে এসে দাড়াবার জন্য আহবান করে ।