ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : মার্চ ০৭ ২০২৪, ০৩:৫২
  • 123 বার পঠিত
ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ সময় ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। সেই ৭ মার্চের ভাষণ আজকে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। ‘‘জয় বাংলা’’ স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। কোনো ছবি দেখানো যেত না। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ। যে স্লোগান দিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে, তার সব নিষিদ্ধ।

এমনকি ইতিহাস লিখতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম আসবে…একটা বইয়ে অনেক ছবি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে। মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি। সেটা একটা কাগজ দিয়ে ঢেকে আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দেখানো হচ্ছে টেলিভিশনে, কিন্তু ওই ছবিটা দেখানো যাবে না। নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‌‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ সেসময় মানুষকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের না, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।’

সত্তরের নির্বাচনের পর যখন ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দিল না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২৫ মার্চ যখন গণহত্যা শুরু করল। পরদিন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে বন্দী করে রাখা হলো। এরপরই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেনি, শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি দেয়নি, একটা যুদ্ধের বিজয় এনে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে যেভাবে হত্যা করা হলো। পাকিস্তানিরা বলতো বাংলাদেশ স্বাধীন হলে কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশ তাদের কাছে বোঝা ছিল, স্বাধীন হয়ে ভালোই হয়েছে- এ ধরনের কথা তারা বলেছে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছর ৭ মাসের মধ্যে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে যখন বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করলেন। এরপর যখন দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটাই স্বাধীনতাবিরোধীদের সহ্য হয়নি। ’

‘দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু যারা আমাদের দেশের, যারা দিনরাত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত, তাদেরই দেখলাম ঘাতকরূপে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
কোটার হার পরিবর্তন করতে পারবে সরকার, হাইকোর্ভোলায় কোটাবিরোধীদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল তির-ধনুক দিয়ে বিবিসি সাংবাদিকের স্ত্রীসহ দুইবদলে যাওয়া পরীমনি১০ জনের দল নিয়ে উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে কলমসংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনটিআরসিএশিক্ষার্থীরা বোধহয় সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেনজেলেদের চাল আত্মসাতের বিচার দাবিতে মানববন্ধবরিশালে পুলিশের বাঁধা ডিঙিয়ে মহাসড়ক অবরোধ শিপুলিশকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সতর্কতার অনুরোধঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মের ছুটি কমল, শনিবাপ্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ভারত যাচ্ছেনওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে সুপার এইট শুরু ইংল্যদক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াই করে হারলো যুক্তরা
%d