বরিশাল ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
দিল্লিতে ছাত্র-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে কিছু বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশই। চাঞ্চল্যকর এমন অভিযোগের খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো। ওই অভিযোগের পর পুলিশ বাসে আগুন দিচ্ছে, এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের সদস্য জার থেকে একটি বাসে তরল কিছু ছুড়ে মারছেন। এরপরই বাসটি জ্বলতে দেখা যায়।এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। এত দিন বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ কয়েকটি রাজ্য। এবার তার সাক্ষী হলো রাজধানী দিল্লির দক্ষিণ অংশ। রোববার বিকেলে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া-সংলগ্ন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে বিক্ষোভ চলছিল। এ ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপরে চড়াও হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধলে এলাকাটি যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়। জামিয়ার ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। ওই সময় শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁদের অনেকেই পুলিশের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে আহত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শৌচাগারে ঢুকেও পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরও বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। লাইব্রেরির বাইরের শিক্ষার্থীদের মাথার ওপরে হাত তুলে লাইন দিয়ে হাঁটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এমন আচরণের পর শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, ‘আমরা কি দাগি অপরাধী?’
এরপরই রোববার রাতেই বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদের মউলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
কিন্তু এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের একজন সদস্য নিজেই একটি বাসে জার থেকে তরল ছুড়ে মারছেন। এরপরই বাসটি জ্বলতে দেখা যায়। ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালীন দেখা যায় বেশ কয়েকটি বাস ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আম আদমি পার্টির নেতা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়াসহ অনেকেই অভিযোগ করছেন, পুলিশেরই কিছু সদস্য ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরনের সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
হিন্দিতে টুইট করেন মনীষ লিখেছেন, ‘এই ছবিটি দেখুন…দেখুন কে বা কারা বাসে এবং গাড়িতে আগুন দিচ্ছে…এই ছবিটি বিজেপির করুণ রাজনীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ…বিজেপি নেতারা এর প্রতিক্রিয়ায় কী বলবেন?’
অভিযোগ অস্বীকার করে দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এস রান্ধওয়া এনডিটিভিকে বলেন, আপনাদের পুরো ভিডিওটি দেখতে হবে। বাসের বাইরে আগুন লেগেছে…পুলিশ ওই পাত্রে পানি নিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে।’