বরিশাল ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
বরগুনার আমতলীতে ফারিয়া ইসলাম মালা নামের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে জবাইয়ের পর সাত টুকরা করার দায়ে আলমগীর হোসেন পলাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু আদালত। একই সাথে এ হত্যাকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে অ্যাড. বিপ্লব নামের এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
আজ বরিবার (২৬ জানুয়ারি) বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, নিহত কলেজ ছাত্রী মালার মামাতো ভগ্নিপতি পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালী উপজেলার ভয়াং এলাকার লতীফ খান এর ছেলে আলমগীর হোসেন পলাশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পলাশের ভাগ্নি জামাই বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল হোসেন বিপ্লব। সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন আইনজীবী মইনুল হোসেন বিপ্লবের সহকারী রিয়াজ।
এ ছাড়া আইনজীবী বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়াও একই আদেশে বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মৃতদেহ লুকানোর চেষ্টার অপরাধে আসামি বিপ্লব এবং পলাশের সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় মালাকে জবাই করে হত্যা করে আসামিরা। পরে আসামীরা মৃতদেহ লুকানোর জন্য মৃতদেহটিকে সাতটুকরা করার পর পানিতে ধুয়ে মৃতদেহ থেকে রক্ত দূর করে দুইটি ড্রামে ভরে রাখে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে ড্রাম থেকে নিহত মালার সাত টুকরা মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ওই বাসা থেকেই পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন রাতে বিপ্লব এবং পলাশের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, “মালা হত্যা মামলায় আসামি পলাশকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মৃতদেহ লুকানোর দায়ে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া আইনজীবী বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মৃতদেহ লুকানোর দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। আর পলাশের সহকারি রিয়াজের বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকানোর দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে এ মামলায় আইনজীবী বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।