বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের সর্বত্র এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭১১ জনে।
এখন শুধু চীনেই নয় চীন পেরিয়ে এই ভাইরাস এশিয়া-ইউরোপ সহ বিশ্বের আরো ১৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার চীনের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাস। দেশটির কেরালা প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ছাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে কেরালার স্বাস্থ্য দপ্তর।
ভাইরাস আক্রান্তের সত্যতা স্বীকার করে টুইট করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। আক্রান্ত ছাত্র উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। আপাতত তাকে হাসপাতালে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, আরো ছয়জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্য প্রতিনিধিরা।
এখন পর্যন্ত চীন বা অন্য কোনো দেশ এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত জানাচ্ছে এই ভাইরাস মোকাবিলার প্রতিষেধক ওষুধ তাদের কাছে রয়েছে। তবে তা ভ্যাকসিন বা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথিতেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে বলে জানাচ্ছে তারা।
দেশটির আয়ুর্বেদ মন্ত্রণালয়ের এক টুইটের বরাত দিয়ে জি নিউজ জানিয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। ভাইরাস আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমনকি কি ওষুধ খেতে হবে, তাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদীয় মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ নামের ওষুধটি এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।