বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পিরোজপুরের নাজিপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে উভয়পক্ষ।
রোববার সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও যুবলীগ নেতা রিয়াজুল কবির (৩২) ও স্থানীয় পথচারী মো. শরিফুল ইসলামকে (৪০) গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি মো. রনি শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান হৃদয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম ফারাভী, রিজভী শরিফুল, শাফিক হোসেন, তানভীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত হাসান স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও যুবলীগ নেতা রিয়াজুল করিব, পথচারী শরিফুল ইসলাম, প্রথম বর্ষ কমিটির প্রচার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ওই বর্ষ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম হোসেন আহত হয়েছেন।
ওই কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় জানান, এর আগের দিন গত শনিবার সকালে ওই হোস্টেলে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী হামিমকে মারধর করেন কলেজ কমিটির সভাপতি মো. রনি শেখ ও সহ-সভাপতি রবিউল শরিফ। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেয়ার জন্য ওই দিন রাতে স্থানীয়ভাবে বসার কথা থাকলেও তারা (সভাপতি) আসেননি।
তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা কলেজে গেলে কলেজের মসজিদ গেটে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সভাপতির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮-৯ জন আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলায় কলেজ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম ফারাভী, রিজভী শরিফুল, শাফিক হোসেন, তানভীর হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত হাসান আহত হন।
তবে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রনি শেখ এমন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান হৃদয় ওই দিন সকাল ১০টার দিকে কলেজের প্রথম বর্ষের কমিটির সাধারণ সম্পদক শরিফুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে শরিফুলের লোকজন তাদের মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী হাসান হৃদয় তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় মাটিভাঙ্গা বাজারে থাকা স্থানীয় ছাত্রলীগের অফিসে থাকা টিভি, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে। এ সময় এ হামলায় বাধা দিতে যাওয়া স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও পল্লী চিকিৎসক রিয়াজুল কবিরকে এবং এ হামলার ছবি তুলতে থাকা স্থানীয় পথচারী শরিফুল ইসলামকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
তবে কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমন হামলার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার অভিযোগকে অস্বীকার করে জানান, আমরা সভাপতি গ্রুপের হাতে ২ দফা মার খেয়ে চলে এসেছি। আমরা কাউকে মারিনি।
এ ব্যাপারে মাটিভাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের আইসি পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, উভয় গ্রুপই ছাত্রলীগ। তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুস সালাম বলেন, উভয়েই ছাত্রলীগ। তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার চিৎকার শুনে আমি (অধ্যক্ষ) অফিস থেকে বের হয়ে তাদের কলেজ থেকে বের করে দেই। পরে কলেজের বাইরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।