বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার রহিমা ইসলাম কলেজ অধ্যক্ষের নারী কেলেংকারী ও নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে উপজেলাব্যাপী তোলপাড় চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কলেজ আয়ার সঙ্গে অধ্যক্ষের আপত্তিকর ফোনালাপ।
সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। বিলি করা হয়েছে লিফলেট। সচেতন ব্যক্তিবর্গের ব্যানারে এসব পোস্টার লিফলেট বিতরণ করা হলেও কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে আগ্রহী নয়। অভিযোগকারী একাধিক সূত্র জানায়, ক্ষমতা বলয়ের লোক হওয়ায় কেউ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
জানা গেছে, চরফ্যাশনের দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য শশীভূষণ থানা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ। এ বছর এমপিওভুক্ত কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও প্রায় ১ হাজার ৭০০। এই কলেজ অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমকে ঘিরে নানান কথা বাজারে চালু আছে।
সম্প্রতি কলেজের জনৈক আয়ার সঙ্গে অধ্যক্ষের আপত্তিকর ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। যাতে কলেজের সুরক্ষিত কক্ষের ভেতরে কলেজের একাধিক আয়ার সঙ্গে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের অনৈতিক দৈহিক সম্পর্কের বিষয় প্রকাশ্যে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া এই অডিও নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিবর্গের ব্যানারে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের অপসারণ চেয়ে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
যেসব পোস্টার ও লিফলেটে পরীক্ষার হলে নকলের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কলেজের কিছু কিছু ছাত্রী এবং শিক্ষার্থীর কিছু কিছু মায়েদের সঙ্গেও অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীরের অনৈতিক সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে। জাহাঙ্গীর আলম একজন অদক্ষ অযোগ্য নারী লোভী বটে। অধ্যক্ষ পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এসব প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাকে সামজিকভাবে হেয় করার জন্য এসব অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। নারীর সঙ্গে আপত্তিকর কথার অডিও রেকর্ডিং প্রসঙ্গে তিনি একটু চুপ থেকে বলেন এসব রেকর্ডিং ডামিং করে আমাকে হেয় করা হচ্ছে।