বরিশাল ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটি ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে দপ্তরি মামুন হাওলাদার (৩৩) গা ঢাকা দিয়েছেন। মামুন কুশঙ্গল গ্রামের রুস্তুম আলী হাওলাদারের ছেলে। ঘটনার পর ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ওই ছাত্রী।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি বিদ্যালয় ছুটি শেষে শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যায়। শিশুটি বিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় দপ্তরি মামুন হাওলাদার এসে তাকে হাত ধরে টেনে বিদ্যালয়ের ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে মুখ চেপে ধর্ষণচেষ্টা করে মামুন। সে চিৎকার শুরু করলে মামুন তাকে ছেড়ে দেয়। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা বাবা ও মাকে জানায়। তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো বিচার পায়নি।
এদিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ভয়ে শিশুটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য শিশুটির বাবাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।
মেয়েটির মা অভিযোগ করেন, ধর্ষণচেষ্টার কথা জানাজানি হলে আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা গরিব বিধায় কেউ মামুনের বিচার করেনি। পরে বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
বিদ্যালয়ের দপ্তরি মামুন হাওলাদার বলেন, আমি মেয়েটির বাবার কাছে টাকা পাই। পাওনা টাকা চাওয়ার কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি সঠিক নয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুরন্নাহার লায়লা বলেন, আমি বিষয়টি আজকেই (মঙ্গলবার) শুনেছি। ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে দপ্তরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হবে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।