বরিশাল ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ কলাপাড়ায় দুই পিতা-পুত্র জমি বেচা-কেনার নাম করে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলাসহ ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানাগেছে, কলাপাড়ায় প্রতারক চক্রের
অন্যতম হোতা ছেলে দ্বিজেন বেপারী ও পিতা জগদীশ চন্দ্র বেপারীর কবলে পড়ে একাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের মধুপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী আঃ হালিম তালুকদার কর্তৃক কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
দায়ের করা মামলার (মামলা নং সিআর-১০৪৭) আসামী ছেলে দ্বিজেন বেপারী ও পিতা জগদীশ চন্দ্র বেপারী অবৈধভাবে বিলের অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিগ্রহনকৃত জমির মধ্যে জাল দলিল সৃষ্টি করে। পটুয়াখালীর নয়ন মৃধাকে জমিি দেয়ার কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা, আলীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পান্না মোল্লার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা, সাধারন সম্পাদক সোহরাবের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা, আলীপুরের স্যালুন ব্যবসায়ী বাসুর কাছ থেকে ধার বাবদ ৩০ হাজার টাকা, হাসানের কাছ থেকে জমি দেয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, মনা ব্যাপারীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, লতাচাপলির আবদুর রহিম মুসুল্লির কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা, এড. আবুল বাশারের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, কড়াইবাড়িয়ার মুদি
দোকানদার মোতালেব এর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা, দুমকির মিজানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, জব্বার শরিফের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, লতাচাপলির আছালত পাড়ার সেলিম হাওলাদারের কাছ থেকে জমি বায়না বাবদ ২৭ লক্ষ টাকা, মোঃ শান্ত, আজমাইল হোসেন সোহাগ ও নুরুল ইসলামের কাছ থেকে জমি বায়না বাবদ ৮৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জালিয়াতি চক্রের হোতা রুহুল আমিন আকনের সহযোগিতায় উক্ত প্রতারক পিতা-পুত্র জগদীশ ব্যাপারী ও দ্বিজেন গং বায়না জমি বুঝাইয়া না দিয়ে উক্ত সব ব্যক্তিদের টাকা হাতিয়ে নেয়। লতাচাপলি
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনসার মোল্লা পিতা-পুত্রের প্রতারনা ও অপকর্মের ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, উক্ত জগদীশ ব্যাপারী ও দ্বিজেন মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি জমি ক্রয় করে বাড়ি ঘর করেছে। যে কোন সময় প্রতারদ্বয় মানুষের টাকা না দিয়ে রাতের আধারে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে।
ভুক্তভোগী আঃ হালিম তালুকদার কর্তৃক কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলা (মামলা নং সিআর-১০৪৭) করায় বিজ্ঞ আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য কলাপাড়ার সাব রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিলে, সাব রেজিস্ট্রার মোঃ কাওসার খান সরেজমিনে তদন্ত ও উভয় পক্ষের দাখিলকৃত দলিলপত্রাদি যাচাই করে জগদীশ ব্যাপারী ও দ্বিজেনগংদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির অভিযোগটি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে
আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সাবরেজিস্ট্রার।