বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
একুশে পদক প্রাপ্ত বরিশালের গুণীজন নিখিল সেন-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার। তিনি ২০১৯ সালের ২৫ শে ফেব্রæয়ারি দুপুর একটায় পরলোক গমন করেন। তিনি একাধারে আবৃত্তিশিল্পি, নাট্য নির্দেশক, সংগঠক, সাংবাদিকতার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিলো উদীচী ও বরিশাল নাটক এবং শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব। তিনি ১৯৩১ সালের ১৬এপ্রিল বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুরের কলসগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত এবং মা ছিলেন সরোজিনী সেনগুপ্তা। পেশায় ছিলেন শিক্ষক ও সাংবাদিক। ১৯৫২সালের জুলাই মাসে যোগদেন বরিশাল সদর থানার কর্ণকাঠী হাইস্কুলে সহকারী প্রধানশিক্ষক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি কাজ শুরু করেন ‘সংবাদ’ পত্রিকায়। এরপর বরিশালের পত্রিকা ‘লোকবাণী’ তে সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মুখপত্র ‘নতুন বাংলা’ ও কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘একতা’য় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা হয় দীর্ঘদিন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পতাকাতলে নিজেকে যুক্ত করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে তৎকালীন জেলা যুবলীগের (ইয়ুথলীগ) সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১৯৫৫ সালে যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৫৭সালে সভাপতির দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়। ৫০-এর দশকে শাসক গোষ্ঠীর নিষ্পেষণে তিন বার জেল খাটতে হয়। ১৯৬৫সালে পাক-ভারত যুদ্ধেও কয়েক মাস থাকেন নজরবন্দী। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে শুরু করে সকল প্রগতীশীল এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি অসংখ্য সম্মানায় ভ‚ষিত হন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিক ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়েছে। এছাড়া আজ অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ে বেলা ১২টায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।