বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের ছন্দে এবং গতিতে সোমবার সকালেও প্রথম ইনিংসে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক শুরু করেন। অধিনায়ক মুমিনুল হক তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। এরপর ফিরে যান তিনি। তবে পাকিস্তান সফরে না যাওয়া মুশফিক দুইশ’ তুলে নেন। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার ব্যাটে ২৯৫ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
স্বাগতিকরা ১৫৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬০ রান করেছে। দলের হয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হক ১৩২ রান করে আউট হয়েছেন। মুশফিকুর রহিম ২০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিয়ারের তিন ডাবলের দুটিতেই অপরাজিত থাকলেন তিনি। আর বাংলাদেশের পাঁচ ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটিই নিজের নামে লিখিয়েছেন মুশফিক। এর আগে সর্বশেষ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ২১৯ রানের ইনিংস।
মুশফিকের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। তিনি হার না মানা ১৪ রান করেছেন। এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন ফিরে গেছেন ১৭ রান করে। মুশফিকের সঙ্গে ভালো জুটি গড়ে খেলা লিটন দাস ৫৩ রান করে আউট হয়েছেন। এর আগে প্রথম ইনিংস থেকে ২৬৫ রান তুলতে পারে সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ২৪০ রান তুলে শেষ করে। মুমিনুল হক ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। মুশফিক করেছিলেন ৩২ রান। তারা দু’জন তৃতীয় দিনের সকালটা নিবিঘ্নেই পার করেন। এর আগে দ্বিতীয় দিনেও ভালো ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। তবে ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে উইকেট বিসর্জন দিয়ে ফেরেন নাজমুল শান্ত। তামিম আউট হন ৪১ রান করে।
মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের হয়ে তাদের দলীয় অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন ১০৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক হিসেবে তুলে নেন প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া প্রিন্স মাসভুরে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংস থেকে পেসার আবু জায়েদ রাহী এবং ডানহাতি অফ স্পিনার নাঈম হাসান চারটি করে উইকেট নেন।