বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও টেকনেশিয়ান না থাকায় মেশিনটি ১২ কছর ধরে চালু করা যাচ্ছে না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। ফলে টেকনেশিয়ান না থাকার কারণে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তালা ঝুলছে এক্স-রে কক্ষটিতে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি এক্স-রে মেশিন দেয়া হয় সরকারিভাবে। মেশিনটি আসার পর থেকে এক বছর চললেও তারপর থেকে টেকনেশিয়ান না থাকায় দীর্ঘ প্রায় ১২ বছরেও এটি চালু করা হয়নি। ফলে এক্স-রে কক্ষটিতে এখন পর্যন্ত তালাবদ্ধ রয়েছে। বর্তমানে মেশিনটির কী অবস্থা তাও জানেন না কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা যেহেতু এক্স-রে মেশিনটি দেওয়ার পর এক বছর চালানো হয়েছে অদ্য পর্যন্ত এক্সে-রে মেশিনটি ওপেন করা হয়নি তাই এটি অকেজো হয়েই পড়ে আছে। এদিকে হাসপাতালে এক্স-রে করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জটিল কোনো সমস্যা হলে রোগীদেরকে ডাক্তাররা বাইরের কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সে-রে করার জন্য পাঠান। ফলে উন্নতমানের এক্স-রে করতে দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হয় রোগীদের । যেতে হয় উপজেলা কিংবা জেলা সদরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অনেক সময় দূর-দূরান্তে গিয়ে সাধারণ রোগীরা বেশি টাকা ব্যয় করে এক্স-রে করতে পারছেন না। আর কত দিন পর এক্স-রে কক্ষটির তালা খুলবে এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, টেকনেশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না। আমি হাসপাতালে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এক্সে-রে মেশিনটি বন্ধ পেয়েছি। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে একটি ডিজিটাল এক্সে-রে মেশিনের জন্য চিটি পাঠানো হয়েছে ।