মো. সুজন মোল্লা, বানারীপাড়া।। উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এ দলটি চলছে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলোর মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে অনেক আগেই। এর পরেও মুলদল সহ প্রতিটি ইউনিট সভাপতি ও সম্পাদক নির্ভর হয়ে পড়ায় কমিটিতে থাকা অন্য সদস্য এবং সাধারণ কর্মীরা রাজনৈতিক ভাবে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে রয়েছে এখানে। আর এ জন্য তারা দায়ী করছেন নেতৃ স্থানীয় নেতৃবৃন্দদেরকে।

বিগত বছরে যারা দলের পদ ব্যবহার করে অনেক সুবিধা নিয়ে বট গাছ সমান অর্থের মালিক বনে গেছেন,তাদেরকে বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে অনেকটা কম দেখা যায় বলেও তৃণমূলের অভিযোগ রয়েছে। দলের ভিতরে গ্রুপিং সৃষ্টি করে ওই সমস্ত নেতৃ স্থানীয় নেতারা নিজেদেরকে অনেকটা আড়ালে রাখছেন বলেও এখানকার রাজনৈতিক অঙ্গণে এটা আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় নতুন নেতৃত্বের হাতে দলটির দায়িত্বভার দেয়া না হলে রাজনৈতিক চর্চা থেকে পিছনে পড়তে পারে ঐতিহ্যবাহী এ দলটি।

প্রসঙ্গত বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে এবং এর কিছু সময় পরে পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনের সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রদবদল করা হয়। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠিত হয় ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে,পরে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা যুবলীগের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো জেলা থেকে। ওই কমিটি ঘোষনা হওয়ার দিনই এ উপজেলার মূল যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ওই কমিটির বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ও পৌর কমিটি ঘোষনা করেছিলেন। পরে ৩ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা যুবলীগের ওই কমিটি জেলা থেকে বিলুপ্ত করা হয়। এরপরে যুলীগের আর কোন কমিটি গঠিত হয়নি।

উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে যে কমিটিও পূর্ণাঙ্গ ছিলোনা।
এরই মধ্যে সংগঠনটির সভাপতি সহ কয়েকজন সাময়িক বহিস্কার হওয়ায় এবং তা প্রত্যাহার না করায় অনেকটা নিরভ হতে বসেছে উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ এ ছাত্র সংগঠনটি। একই মাসে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত ২ সদস্য বিশিষ্ট পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিলো। যে কমিটি এখনও সভাপতি ও সম্পাদক নির্ভর হয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্য ভাগে উপজেলা ও পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হলেও আজও কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। উপজেলা ও পৌর শ্রমিক লীগ’র মধ্যেও রয়েছে গ্রুপিং। সব মিলিয়ে সংগঠন গুলোর যখন এই অবস্থা তখন নতুন করে কাউন্সিলের মাধ্যমে তারুণ্য বেষ্টিত কমিটি করার আহবান জানিয়েছেন মাঠের কর্মীরা।