বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
শামীম আহমেদ :: মাঠ পর্যায়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ সহকারী কমিশনার (ভূমি ) এর কার্যালয়ের কর্মরত কর্মচারীদের (গ্রেড ১৩ থেকে ১৬) পদবী পরিবর্তন ও গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীর আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দপ্তর অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
দাবী আদায়ের জন্য জেলা প্রশাসক দপ্তরের নিচ তলায় চলছে দাবী আদায়ের আন্দোলন সভা-সমাবেশ। অপরদিকে জেলা প্রশাসক দপ্তরের সাধারন শাখা, এস এ শাখাসহ মফেজখানা (রেকর্ড) রুমের চেয়ার টেবিল ফাইল-পত্র যেখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে নেই শুধু আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা প্রশাসক দপ্তরের কাজে এসে কর্মচারীদের দিনব্যাপি কর্মবিরতির আন্দোলনের কারনের দূর্ভোগে পরে পুনরায় নিরাস হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অফিসের কাগজ-পত্র ও রেকর্ড রুমে কাজে আসা সেবা প্রত্যাশী সাধারন মানুষ।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান তার সম্মেলন কক্ষে জিও-এনজিওদের নিয়ে মাসিক সভা করছেন কিন্তু সেখানেও কর্মচারীরা রয়েছে অনুপস্থিত। এছাড়া সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মচারী ছাড়াই নিজ নিজ দাপ্তরিক কাজ করতে তাদের দেখা গেছে।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে কালেক্টরেট সহকারী সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সদস্যরা আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন তারা। সভাপতি মাহফুজুর রহমান খান সুজনের সভাপতিত্বে দাবী আদায়ের কর্মবিরতি সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক আঃ বারেক মোলা, নাসির সরদার, আনিছুর রহমান, মনির হোসেন আকন, আয়সা সিদ্দিকা, হারুন উর রসিদ, রিয়াজুল ইসলাম, আদম আলি, হৃদয় রতন ও মিঠু রানি দাস প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, এভাবে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে আন্দোলন করলে চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি কর্মচারীদের দাবীর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন সুরাহা না করা হয় তাহলে নতুন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
এব্যাপারে জেলা সভাপতি মাহফুজুর রহমান খান সুজন বলেন, আমাদের এবারের কর্মবিরতির পূর্বে কয়েকবার আন্দোলন করেছি কিন্তু আমাদের ব্যাপারে সরকার এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না। তাই আমরা নতুন করে কর্মবিরতি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবী পুরণ করা না হলে আমরা অফিসের সকল ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকব।
অপরদিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে থানা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়গুলোতে কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করায় সেখানের দপ্তর গুলো অচল হয়ে রয়েছে।