বরিশাল ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রান হানির অশনি সংকেতে মানুষ ঘরবন্ধী হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা শহর এখন ভুতুরের শহরের পরিনত হয়েছে।
মানুষ এখন সতর্ক হওয়ায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ অনেকটা সম্ভব হচ্ছে এমনটাই ধারনা করছেন সচেতন মহল। অাশার কথা সারা পটুয়াখালী জেলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস অাকোান্তের খবর না পাওয়া গেলেও মানুষ স্বস্তিতে নেই। করোনা ভাইরাস প্রভাবে বিদেশসহ ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বিভাগ বিভাগ, সিটি ও বড় বড় শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ পটুয়াখালীতে অাগমন ঘটায় মানুষ করোনা অাতংকে দিন কাটাচ্ছেন। এ কারনেই মানুষ স্ব-ইচ্ছায়, স্ব-উদ্যোগে ছেলে-মেয়ে, পরিবার পরিজন ননিয়ে ঘরের বাহির হচ্ছেন না। বলতে গেলে জেলার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে অাছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন ২৬ মার্চ হতে ১০ দিন পর্যন্ত কাঁচা বাজার, ফার্মেসী, মুদী দোকান ব্যতিত সকল ধরনের দোকানপাঠ বন্ধ রাখার ঘোষনায় সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, অফিস অাদালত বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট অফিসপাড়া জনশূন্য । পটুয়াখালীর প্রশাসন,জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং করনীয় বিষয়াদির ব্যাপারে সার্বক্ষনিক নজরদারী করছেন। জেলা প্রশাসক মোঃ মতিুল ইসলাম চৌধুরী এর নির্দেশনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিএম সরফরাজ ও জেলা স্যানিটারী ইন্সেপেক্টর মহিউদ্দিন অাল মাসুদের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং চলছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম এর নির্দেশনায় বিদেশ ফেরত মানুষের অনুসন্ধান এবং চিহ্নিত প্রবাসীদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার এবং তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি উপযোগি খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছেন। পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন অাহমেদ পৌর শহরকে দূষনমুক্ত করার জন্য সড়ক সমূহসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে জীবানুনাশক পানি স্প্রে করছেন। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার ও সদর ইউএনও লতিফা জান্নাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগনকে সচেতনতার পাশাপাশি অক্ষম দরিদ্র শ্রেনীর মানুষের মাঝে মাস্ক ও খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করছেন।
করোনা সেল এর দেয়া তথ্যসূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৭ জনকে চিহ্নত করা হয়েছে এবং ৪৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। গত ১০ মার্চ হতে এ পর্যন্ত ৬৭১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে ৩৫৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নোমান সাদ জানান। জেলায় প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে ১৮০ টি পিপিই উপজেলা সমূহে সরবরাহ করা হয়েছে। জেলায় দুই একদিনের মধ্যে পিপিইসহ করোনা প্রতিরোধক চিকিৎসা সামগ্রী বরাদ্ধ পাওয়া যাবে বলে সূত্র জানায়।
পটুয়াখালী প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এ পর্যন্ত কোন সন্দেহ বা অাক্রান্ত করোনা রোগী ভর্তি হয়নি বলে করোনা সেল এ দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার অাসাদুজ্জামান জানান। তিনি জানান এ পর্যন্ত ৫৫০টি পিপিই এর মধ্যে ১৪৫টি সরবরাহ করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধক ঔষধ সামগ্রী সরকারীভাবে বরাদ্দ পাওয়া যাবে।