বরিশাল ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
করোনাভাইরাসের কারণে সব দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম আগামী ঈদ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ সময়ে কোনো পর্যায়ের কমিটি গঠন ও পুনর্গঠন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কেউ উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে দলটি।
এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারক একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্ব এখন নিরুপায়। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে মানুষ এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কে কখন আক্রান্ত হয় বলা যায় না।
এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। দলীয় ফোরামে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংগঠন গোছানোর কার্যক্রম ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। তাই সময় আরও বাড়ানো হবে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, চলতি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে রোজা শুরু, মে মাসে ঈদ। সব মিলিয়ে ঈদের আগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। দু-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে। করোনা প্রতিরোধে করণীয় এবং জনসচেতনতামূলক প্রথম লিফলেট বিতরণ শুরু করে বিএনপি।
জনসমাগম এড়িয়ে দলীয় সভা-সমাবেশও স্থগিতের পাশাপাশি জেলা-উপজেলায় কোনো শোডাউন না করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২২ মার্চ দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘দেশব্যাপী বিএনপির সব পর্যায়ের চলমান কমিটি গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’