বরিশাল ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া।। কি করছি আমরা। কি হবে সমাজের পর সমাজে সমাজপতি সৃষ্টি করে। আমাদের অবস্থা দেখে আজ বড়ই অবাক এ দুনিয়া! এক শ্রেনীর মানুষ যখন কোন প্রকার মানবতার তোয়াক্কা না করে চাল-ডাল লুটপাট করে খাচ্ছে দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা না করে। ঠিক সেই সময়ে একটি পরিবারের পোষা কুকুর তখন আমাদের
মানবতা শিখিয়ে গেলো কিভাবে নিজের জীবন দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে হয়। একটি কোবরা নামের
বিষাক্ত সাপ’র ছোবল থেকে তার মালিককে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছে পোষা কুকুর স্নোপি।
কুকুরের মানবতার এ ঘটনাটি ভারতের খাম্মাম জেলায়। মালিক আচেপালি- কিশোরে খাটে
ঘুমাচ্ছিলেন, তার পাশেই শুয়ে ছিলো পোষা কুকুরটি। বিষাক্ত সাপ কোবরা হঠাৎ করেই কিশোরে যে রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন সেই রুমে ঢুকে পড়ে,বিষয়টি স্নোপির নজর এড়ায়নি। সে দেখা মাত্রই ধা-ধা করে
কোবরাকে (সাপকে) ধাওয়া করতে লাগলো। কিন্তু সাপ একটি বাক্সের পেছনে লুকিয়ে পড়ে। এ সময় কুকুর স্নোপি মালিককে না জাগিয়েই একাই সাপটিকে খুঁজতে থাকে, খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও যায়। এ পর্যায়ে শুরু হয় দুজনের লড়াই। কুকুর সাপের লড়াইযের সময় কিছুটা আওয়াজ পেয়ে মালিক কিশোরে জেগে ওঠেন। ঘুম থেকে উঠে কিশোরে দেখতে পেলেন তার কুকুর একটি বিষাক্ত সাপের লেজ খামছে ধরে তাকে মারার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে সাপটি কুকুরকে কামড়ানোর চেষ্টা করছে। কিশোরে তড়িৎ লোকজন আর লাঠিসোটা নিয়ে সাপটিকে মারার চেষ্টা করেন এবং সফলও হন। তবে লড়াইয়ের সময়ে সাপটি ঠিকই
কামড়ে দেয় ¯েœাপিকে,এতে বিষাক্ত হতে শুরু করে স্নোপির দেহ। এর পরেই তাকে একটি পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার আগেই কুকুরটি মারা যায়। কিশোরে বলেন, ‘আমার কুকুর নিজের জীবন দিয়ে আমার প্রাণ বাঁচিয়েছে। একজন লড়াকু সৈনিকের মতো সে একা যুদ্ধ করেছে কিন্তু আমাকে ঘুম থেকে জাগায়নি ¯েœাপি।