বরিশালে আগৈলঝাড়ায় বোরো ধান কাটা নিয়ে কৃষি শ্রমীকের তীব্র সংকটের আশংকা

  • আপডেট টাইম : এপ্রিল ২০ ২০২০, ১৩:৫৮
  • 719 বার পঠিত
বরিশালে আগৈলঝাড়ায় বোরো ধান কাটা নিয়ে কৃষি শ্রমীকের তীব্র সংকটের আশংকা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

শামীম আহমেদ ॥ কয়েকদিন পর শুরু হবে বোরো ধান কাটা। আগাম জাতের ধান ইতি মধ্যে ক্ষেতে পাকতে শুর করেছে। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারনে এঅঞ্চলে ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে এমনটি আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক ঘরে ধান তোলা নিয়ে একরকম দুশ্চিন্তাই দিশেহারা হয়ে পরেছেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে ৯হাজার ৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে তাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪৮ হাজার ১শ ৪৮ মেট্রিক টন চাল। ক্ষেতে চলতি বছর ধানের ভাল ফলন হয়েছে। ভাল ফলন হলেও করোনা ভাইরাসের কারনে গোপলগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা,বাগেরহাট, শরনখোলা, মোড়লগঞ্জ জেলা-উপজেলার ধান কাটা শ্রমিকরা আসবে না বলে ইতি মধ্যে জানিয়ে দেয় কৃষকদের। যার ফলে আগৈলঝাড়ার ধান চাষ করা কৃষকরা পড়েছে মহাবিপদে। শুরু থেকে এবছর আবহাওয়া পরিবেশ অনুকুলে থাকায় ক্ষেতে ধান বেশ ভাল ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা মনে করছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার রোগ বালাই না
থাকায় ধানের অনেক ভাল ফলন হবে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ইতি মধ্যে আগাম জাতের
ধান পাক ধরেছে। হয়তো আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে এসব ধান কাটা শুরু হবে। কিন্তু সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে একদিকে যেমন একের পর এক জেলাগুলো লকডাউন করে দেয়া হচ্ছে।

অন্য দিকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক ও শারীরিক জনদূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে জনসাধারনকে। কৃষকরা বলছেন, উপজেলা জুড়ে ধান কাটা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক এসে ধান
কেটে ঘরে তুলে দেন। কিন্তু এবার কি হবে! ইতি মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এই উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে কিভাবে শ্রমিকরা আসবেন। এনিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। যদি শ্রমিকরা লকডাউনের মধ্যে সময় মতো আসতে না পারেন তা হলে কিভাবে ধান ঘরে উঠবে এমন
দুশ্চিস্তাই কৃষদের ঘুম হারিয়ে যাচ্ছে ! এমন ভাবনার মধ্যে পড়ে কৃষকদের দূর্বল করে ফেলছে ।

উপজেলার গৈলা গ্রামের খলিলুর রহমান, কালুপাড়া গ্রামের পশিম সন্যামত, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের জালাল সরদার, কোদালধোয়া গ্রামের নবীন হালদারসহ কৃষকরা বলেন, আমন আবাদে ধান পাকার পরেও ধান কাটতে হাতে কিছু সময় পাওয়া যায়। কিন্তু ইরি-বোরো মৌসুমে নানান রকম প্রাকৃতিক দূর্যোগ লেগেই থাকে। ফলে ধান পাকার
সাথে সাথেই কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্থ হয়ে পরতে হয়। কয়েক বছর ধরে এমনিতে ধানের
আবাদে নানা কারনে লোকসান গুনতে হয়েছে। এই মৌসুমেও যদি শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান ঘরে তোলা না যায় তাহলে ব্যাপক লোকসানের কবলে পরতে হবে। তাই ধান ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিকদের অবাধ চলাচল ও জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করার ব্যবস্থা নিতে সংশি-ষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকরা।এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মুঠো ফোনে বলেন, যে এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসবেন ওই এলাকার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যায়নপত্র নিয়ে আসলে পথে প্রশাসনসহ কেহ বাঁধা দিবে না। তারা যে বাড়িতে আসবে তাদেরকে সখানে নিরাপদে থাকার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!ইডেনের গ্যালারিতে বসেই ধূমপান, প্রবল সমালোচনআরো ১১৮ বুদ্ধিজীবীর তালিকা দিল মুক্তিযুদ্ধ মঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালেরভারতে উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশপুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে প্রাথমিক-মাধ্যমিক প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু চলতি মাভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল মেয়েরাপাকিস্তানে ইমরান খানের জেলে হামলা, আটক ৩জাতির পিতা সংবিধানে নারীদের অধিকার নিশ্চিত কপিরোজপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত:
%d