বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়ায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের কাবিখার ২৫৬ বস্তা চাল সহ আটক হয়ে মোবাইল কোর্টে ৬ মাসের কারাদন্ডপ্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লিগের সহ-সভাপতি একে এম ইউসুফ আলী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার বিকালে বরিশাল এডিএম কোর্টে তার পক্ষে আপিল করা হলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমেদ ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড় বাজারে একেএম ইউসুফ আলীর আড়ৎ থেকে ২৫৬ বস্তা কাবিখার চাল উদ্ধার করে মোবাইল কোর্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ধারালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য সাড়ে ৭ মে.টন কাবিখার চাল বরাদ্দ দেয়া হলে প্রকল্প সভাপতি কুদ্দুস হাওলাদার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। তার কাছ থেকে চাল ব্যবসায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে এম ইউসুফ আলী ওই চাল ক্রয় করে ফেঁসে যান। আইনী দৃষ্টিতে অপরাধ হলেও বানারীপাড়া সহ দেশব্যাপি টিআর ও কাবিখার চাল প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। সেই কাবিখার চাল ক্রয়ের অপরাধে দৃষ্টিশক্তি হারানো আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা একে এম ইউসুফ আলীকে মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়ায় বানারীপাড়ার দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়। এদিকে ক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বিক্রেতা সিপিসি কুদ্দুস হাওলাদারের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন তদন্তপূর্বক সিপিসি সহ এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।