বরিশাল ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় মেয়েকে গাছে বেঁধে গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. সোহরাব হোসেন।
এই ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন র্যাবের কাছে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তালতলী থানা পুলিশ মামলা নিয়েছে ধর্ষণ চেষ্টার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ এপ্রিল তালতলীর শুভসন্ধ্যা এলাকায় মেয়েকে গাছে বেঁধে গণধর্ষণের শিকার হয় ওই গৃহবধূ। পরে তিনি থানায় আসলে এক সপ্তাহ পর ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নেয় থানা পুলিশ।
এ ঘটনা নিয়ে দৈনিক মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশের পর ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব হোসেন জানান, গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রথমে অভিযানে নামে র্যাব-৮ পটুয়াখালী ও বরগুনা কোম্পানী। বরগুনা সদর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জহিরুল আকন নামের এক অভিযুক্তকে।
র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রইছ উদ্দিন বলেন, জহিরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানায়। তবে সে ধর্ষণ করেনি। তার সহযোগীসহ চারজন গণধর্ষণ করেছে।
নির্যাতিত এ গৃহবধূ বলেন, পুলিশ তাকে চাপ সৃষ্টি করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিতে বাধ্য করেছিল।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এরই মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি নজরুল ও এমাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও পলাতক রয়েছে দু’জন।