বরিশাল ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘায় জেলেদের ত্রানের অর্ধেক চাল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আকন মো. সহিদের বিরুদ্ধে নতুন কৌশলে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ইলিশ শিকার বন্ধ থাকায় ওই ইউপির জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য ভিজিএফ’র আওতায় ২৫ মার্চ কালমেঘা ৬৯৫ জেলের জন্য মাসিক ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে সরকার।
চাল বিতরণের তালিকা ও মাস্টাররোল ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই ইউপির ৬৯৫ জন জেলের মধ্যে ১৩ জনের নাম দুইবার করে লেখা। ওই ১৩টি নামের বিপরীতে দুই হাজার ৮০ কেজি চালের হিসাব দেখানো হয়েছে। অথচ চাল বিতরণ করা হয়েছে এক হাজার ৪০ কেজি। বাকি চাল আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগী জেলেরা বলেন, আমরা একবারই ৭০ কেজি করে চাল পেয়েছি। ১৬০ কেজি চাল আমাদের নামে তালিকায় আছে কিনা জানি না।
তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আকন মো. সহিদ বলেন, মাস্টাররোলে একটু ভুল আছে। চাল বিতরণে কিছুটা অনিয়ম হলেও দুর্নীতি হয়নি। বাকি চাল রাখা হয়েছে, এগুলো জেলেদের দেয়া হবে।
তদারকি কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ হাওলাদার বলেন, আমার উপস্থিততে চেয়ারম্যান সবার মাঝে চাল বিতরণ করেছেন। একই ব্যক্তির নামে দুইবার চাল দেয়ার সুযোগ নেই। চেয়ারম্যান এমনটা করে থাকলে ভুল করেছেন।
পাথরঘাটার মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, জেলেদের নাম তালিকায় দুইবার দিয়ে চাল আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।